মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই বলে আসছেন যে তৃণমূলের আমলে রাজ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সেই দাবিই সত্যি হল। রাজ্যে কৃষকদের আয় যে বৃদ্ধি পেয়েছে তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় সংস্থা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচার (আইসিএআর) তরফে একটি রিপোর্ট পেশ করে হয়েছে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, অন্যান্য রাজ্যকে পিছনে ফেলে কৃষকদের আয়ের ভিত্তিতে একেবারে শীর্ষে রয়েছে পশ্চিমবাংলা।আইসিএআরের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৬ থেকে ১৭ সালে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষুদ্র কৃষকদের যা আয় ২০২০ থেকে ২১ সালে সেই আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ২০০ শতাংশ। অর্থাৎ এ রাজ্যে ক্ষুদ্র কৃষকদের আয় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে, যারা বড় কৃষক রয়েছেন অর্থাৎ যাদের ১০ হেক্টরের বেশি জমে রয়েছে তাদের আয় বেড়েছে ৩৭৭ শতাংশ। বড় কৃষকদের আয় বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অবশ্য পুদুচেরির সঙ্গে যুগ্মভাবে শীর্ষে রয়েছে বাংলা। গতকাল কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর এই রিপোর্ট প্রকাশ করেন। এমনকি কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে টুইট করে বাংলার সাফল্যের কথাও তুলে ধরা হয়।যদিও আইসিআরের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি এবং উন্নতি প্রযুক্তির জন্য কৃষকদের আয় বৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে। তবে তৃণমূলের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগের কারণে কৃষকদের উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষকদের সুবিধার জন্য কৃষক বন্ধু প্রকল্প চালু করেছেন। যার মাধ্যমে রাজ্যের ৮৯ লক্ষ কৃষককে বছরে দুবার আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়। এ বিষয়ে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, অন্যান্য রাজ্যের কৃষকদের বঞ্চিত করা হলেও এ রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী সব সময় কৃষকদের পাশে রয়েছেন। সেই কারণেই রাজ্যে কৃষকদের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে।প্রসঙ্গত, তৃণমূলের অনেকের দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য কৃষকদের উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। তাদের বক্তব্য, সেক্ষেত্রে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি বাংলার থেকে পিছিয়ে রয়েছে। ফলে কৃষকদের আয় বৃদ্ধির কারণ যে কেন্দ্রের নীতির জন্য নয় তা স্পষ্ট। রিপোর্ট বলছে, পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ছত্রিশগড়, উত্তরাখণ্ড এবং পুদুচেরিতে কৃষকদের আয় প্রায় ২০০ শতাংশের কাছাকাছি বৃদ্ধি পেয়েছে। উল্লেখ্য, সামনেই রয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেক্ষেত্রে কৃষকদের আয় বৃদ্ধি তৃণমূলকে কিছুটা রাজনৈতিকভাবে এগিয়ে রাখবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।