টাইমস বাংলা ডেস্ক -টুর্নামেন্টে অংশ নিতে গিয়েই ঘটল বড় অঘটন। নিজের স্বপ্নপূরণের মঞ্চই হয়ে উঠল প্রাণঘাতী। ভারতের এমএমএ ফাইটার নিখিল সুরেশ কেওয়ান অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা আয়োজিত কিকবক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে লড়াইয়ের সময় আঘাত পান। যার জেরে মৃত্যু হয় তারকা ফাইটারের। তাঁর দলের তরফে খবরটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয়েছে।বেঙ্গালুরুতে ৯ এবং ১০ জুলাই অনুষ্ঠিত কর্ণাটকের কেওয়ান অ্যাসোসিয়েশনের এই টুর্নামেন্টে স্বাভাবিক ভাবেই ছন্দপতন ঘটেছে। নিখিলের অকাল মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ভারতের ক্রীড়ামহলে।তাঁর দলের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে পোস্টটি করা হয়েছে, তাতে লেখা, ‘গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, যাবতীয় চিকিৎসাকে ব্যর্থ করে নিখিল আজ ভোরে আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তবে তিনি চিরকাল আমাদের হৃদয় এবং স্মৃতিতে থেকে যাবেন। এত বড় আঘাতের কথা বলার জন্য কোনও শব্দ নেই। কারণ এই যন্ত্রণা ছেলে হারানোর মতোই। আমরা প্রার্থনা করি, যেন এই আঘাত সহ্য করার শক্তি পাই। গভীর সমবেদনা।’
নিখিলের কোচ আবার অভিযোগ করেছেন, যেখানে টুর্নামেন্ট চলছিল, সেখানে অ্যাম্বুলেন্স এবং প্রশিক্ষিত মেডিকেল কর্মীদের অভাব ছিল। তিনি আরও বলেছেন যে, সব ব্য়বস্থা ঠিকঠাক থাকলে নিখিল সুরেশকে বাঁচানো যেত। পাশাপাশি ভারতে কমব্যাট স্পোর্টস ইভেন্টগুলির আয়োজকদের দ্বারা সুরক্ষা প্রোটোকলগুলিতে একটি বড় পরিবর্তনের জন্যও আহ্বান জানান তিনি।তাঁর দাবি, ‘নিখিল বেঙ্গালুরুতে ৯ এবং ১০ জুলাই ২০২২ সালের কর্ণাটকের কেওয়ান অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা আয়োজিত কিকবক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে নকআউটের পরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। টুর্নামেন্টস্থলে একটি অ্যাম্বুলেন্স, প্রশিক্ষিত মেডিকেল স্টাফ এবং একটি স্ট্যান্ডার্ড ফাইটিং প্ল্যাটফর্ম থাকলে ও হয়তো মারা যেত না। ওকে বাঁচানো যেত। সংগঠক এবং অ্যাসোসিয়েশনদের সুরক্ষা প্রোটোকল মেনে চলার বিষয়ে যত্নবান হতে হবে, যা ইতিমধ্যেই যুদ্ধ ক্রীড়ার জন্য রয়েছে।’