টাইমস বাংলা ডেস্ক -জিটিএ’র শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মুখ্যমন্ত্রী দার্জিলিংয়ে পৌঁছনোর সময় মানুষের ঢল নেমেছিল। আজ, মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গে। জিটিএ’র শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কার্শিয়াংয়ে মানুষের ঢলের সামনে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি এগিয়ে যেতে পারছিল না। তখন মুখ্যমন্ত্রী অনীত থাপাকে ডেকে নেন নিজের গাড়িতে। কিন্তু তারপরও পরিস্থিতি পাল্টায়নি। মুখ্যমন্ত্রী বুঝতে পারেন মানুষ তাঁকে দেখতে ভিড় করেছেন। তাই মুখ্যমন্ত্রী নিজেই নেমে পড়েন গাড়ি থেকে। আর জনতাই সামনে এগিয়ে যাওয়ার রাস্তা তৈরি করে দেন। জিটিএ শপথগ্রহণ অনু্ষ্ঠানে থেকে বেশ কিছু বার্তা দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী দিনে পাহাড়ের পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে শুরু করে পাহাড়কে কেন্দ্র করে একাধিক উন্নয়নের বার্তা দিতে পারেন তিনি। পাহাড়ে অশান্তি নয়, পাহাড়ের উন্নয়ন হলে যে অর্থনৈতিক পথ সুগম হবে সেই বার্তা দিতে চান তিনি। আজ, মঙ্গলবার দার্জিলিং ম্যাল চত্বরে জিটিএ’র শপথ অনুষ্ঠান হবে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে। সেখানে পাহাড়ের বিভিন্ন জনজাতি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান থেকে বিশিষ্টরা ডাক পেয়েছেন। সূত্রের খবর, প্রাক্তন জিটিএ প্রধান হিসাবে এই অনুষ্ঠানে ডাক পাননি বিমল গুরুং। তিনি পাতলেবাসেই বসে রয়েছেন। জিএনএলএফ জানিয়েছে, তাঁরা জিটিএ’র শপথ অনুষ্ঠানে যাবেন না। বিজেপির দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্ত বলেন, ‘জিটিএ অসাংবিধানিক। শপথ অনুষ্ঠানে হাজির থেকে মুখ্যমন্ত্রী সেটাকেই আইনি বৈধতা দিতে চাইছেন।’জানা গিয়েছে, অনীত থাপার দলকে জিটিএ চালাতে সাহায্য করবে তৃণমূল কংগ্রেস। দার্জিলিং লোকসভা আসন বিজেপির দখলে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে পাহাড়ের সব সমস্যার সমাধান করতে চান মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী এখানে ঘাসফুল ফোটাতে চান। এই পরিস্থিতিতে জিটিএ নির্বাচনে সাফল্য এবং তারপর পাহাড়ের উন্নয়ন দিয়েই বিরোধীদের পরাস্ত করতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুতরাং আজকের এই শপথ অনুষ্ঠানে তাঁর উপস্থিতি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।