টাইমস বাংলা ডেস্ক: ক্ষোভের আঁচে পুড়ছে শ্রীলঙ্কা। শনিবার কলম্বোর রাজপথে হাজার হাজার মানুষের প্রতিবাদ-বিক্ষোভের ধাক্কায় ছড়িয়েছিল উত্তেজনা। কেবল তাই নয়, বিক্ষোভকারীরা ঢুকে পড়ে রাষ্ট্রপতি ভবনেও। বেগতিক দেখে পালিয়ে যান প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে (Gotabaya Rajapaksa)। তিনি কি শ্রীলঙ্কা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন, এই গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল। অবশেষে গোতাবায়া জানিয়ে দিলেন, তিনি ইস্তফা দিতে রাজি। আগামী বুধবার ১৩ জুলাই নিজের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট। এমনটাই জানিয়েছেন সংসদের স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা।
এদিকে শনিবার রাতে বিক্ষোভকারীরা আগুন লাগিয়ে দেয় প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংঘের বাসভবনে। তার আগে গতকালই সর্বদলীয় বৈঠকের পরে বিক্রমাসিংঘে জানিয়ে দেন তিনি ইস্তফা দেবেন সর্বদলীয় সরকার গঠনের পথ সুগম করতে।
Protesters have broken into the private residence of Prime Minister Ranil Wickremesinghe and have set it on fire – PM's office pic.twitter.com/yXGFvHbMKt
— Azzam Ameen (@AzzamAmeen) July 9, 2022
উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি ঘটছে। দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক ডামাডোলের জেরে প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষের পদত্যাগের দাবিতে সরব জনগণ। প্রেসিডেন্টের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে পারে তারা, এই আশঙ্কায় শ্রীলঙ্কার রাজধানীতে কারফিউ জারি করা হয়েছিল। পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যেতে পারে তা আগেই আঁচ করেছিল পুলিশ-সেনা। তাই আগেভাগেই রাজপ্রাসাদ ছাড়েন গোতাবায়া।শনিবার বেলা যত গড়িয়েছে তত বেড়েছে বিক্ষোভের আঁচ। প্রশাসনের বাধা মানেনি উন্মত্ত জনতা। রেল কর্তৃপক্ষকে ট্রেন চালাতে বাধ্য করা হয় যাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তারা শনিবার রাজধানী কলম্বোর প্রতিবাদ মিছিলে পৌঁছে যেতে পারে। রাত বাড়তেই প্রেসিডেন্টের বাসভবন ঘিরে ফেলে বিক্ষুব্ধ জনতা। বিক্ষোভ বাড়তেই নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যায়। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে শূন্যে গুলি ছোঁড়ে তারা। ছোঁড়া হয় কাঁদানে গ্যাসও। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি হয়ে ওঠে উত্তপ্ত। অবশেষে গোতাবায়া রাজাপক্ষে জানিয়ে দিলেন, তিনি রাজি ইস্তফা দিতে। এখন দেখার নতুন করে সরকার গড়ে বর্তমান পরিস্থিতিকে অতিক্রম করে সুসময় ফেরে কিনা দ্বীপরাষ্ট্রে।