টাইমস বাংলা ডেস্ক – গড়বেতা এলাকায় বেআইনি কার্যকলাপ কানে গিয়েছিল খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই আবহে মেদিনীপুরের প্রশাসনিক সভা থেকে এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এবার দুর্নীতি নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি তথা পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতি। অজিতবাবু পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যানও বটে। এহেন অজিতবাবুর সাফ কথা, ‘১৫ দিনের মধ্যে শুধরে যান, নাহলে যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেওয়া হবে।’গড়বেতার তিনটি ব্লকের রিভিউ মিটিং চলাকালীন পিংলার বিধায়ক দুর্নীতি নিয়ে হুঁশিয়ার করে দেন। বৈঠকে জেলাশাসক আয়েশা রানিও সতর্ক করেন দুর্নীতি প্রসঙ্গে। উল্লেখ্য, গড়বেতা-১, ২, ৩ ব্লকে বেআইনিভাবে গাছ কেটে পাচার করার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। পাশাপাশি আবাস যোজনা নিয়েও নাকি দুর্নীতি হচ্ছে। এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। এরপর থেকে একাধিক প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়েছে দুর্নীতি ঠেকাতে। এই আবহে শুক্রবার বিকেলে গড়বেতার তিনটি ব্লকের আধিকারিক এবং জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে রিভিউ মিটিং হয়। জেলা পরিষদের সভাধিপতি, গড়বেতার বিধায়ক উত্তরা সিংহ হাজরা, জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি তথা পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতিরা সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।জানা গিয়েছে বেআইনিভাবে গাছকাটার প্রেক্ষিতে বনদফতরের স্থানীয় আধিকারিকদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন অজিতবাবু। বৈঠক থেকে দলের কর্মীদের উদ্দেশে অজিত মাইতি হুঁশিয়ারি দেন, ‘এখনই সাবধান হয়ে যান। কোনওরকম দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না। গড়বেতার তিনটি ব্লক থেকে গাছ কাটা, আবাস যোজনায় দুর্নীতির খবর আসছে। কোনও প্রধান গাছ কাটা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। বনদফতরের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের অনুমতি নিতে হবে এই ইস্যুতে। আবাস যোজনার দুর্নীতিতে আমাদের দলের অনেকেও যুক্ত বলে শুনতে পারছি। তাঁদের বলে দিচ্ছি, ১৫ দিনের মধ্যে শুধরে নিন নিজেদের। সময় দিলাম। যাঁরা টাকা নিয়েছেন ফেরত দিয়ে দিন আর ১৫ দিনের মধ্যে বাকি কাজ করে দিন