চঞ্চল মজুমদার,নদিয়া – রাজ্যের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গুলির মধ্যে অন্যতম হল বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। কৃষিবিজ্ঞানের পঠন-পাঠন এবং কৃষি-গবেষণাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ১৯৭৪ সালের পয়লা সেপ্টেম্বর নদীয়ার জেলার হরিণঘাটার মোহনপুরে প্রতিষ্ঠিত হয় বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
এখানে ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন-পাঠনের জন্য রয়েছে সুপরিকল্পিত পরিকাঠামো, থাকার জন্য রয়েছে ছাত্রাবাস এবং আমোদ-প্রমোদ ও বিনোদনের জন্য রয়েছে খেলাধুলার ব্যবস্থা। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা পঠন-পাঠনের পাশাপাশি নিজেদের প্রতিভা দিয়ে নিজেদেরকে প্রসারিত করে চলেছে প্রতিনিয়ত। যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল এগ্রোনোমি বিভাগের স্নাতকোত্তর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ময়ুখ ভট্টাচার্য্য।
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠন-পাঠনের পাশাপাশি নিজের প্রতিভা ও প্রচেষ্টায় জিতে নিয়েছে অনেক পুরস্কার। সম্প্রতি নিজের পরিচালনায় এবং নির্দেশনায় তৈরি তথ্যচিত্র “বন্দে বিসিকেভি” এবং “শোণিতো”, “ওয়ান লিফ্ ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে” “বেস্ট ডকুমেন্টারি ফিল্ম” এবং “বেস্ট বেঙ্গলি ফিল্ম” অ্যাওয়ার্ড জিতে নিয়েছে। প্রসঙ্গত বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠন-পাঠন এবং ছাত্রাবাসে থাকার ছাত্র জীবনের উপর তৈরি তথ্যচিত্র “বন্দে বিসিকেভি” তৈরী করে “গ্রেট ইন্ডিয়া শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে” “বেস্ট ডকুমেন্ট্রি” অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে ময়ুখ। এরপর সামাজিক জীবনে রক্তদানের গুরুত্ব কতটা সেই বার্তা দিতেই তৈরি করে আরো একটি শর্ট ফিল্ম “শোণিত”, যেই তথ্যচিত্রটি সম্প্রতি আসামে আয়োজিত “ওয়ান লিফ্ ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে” “বেস্ট বেঙ্গলি ফিল্ম” এবং”বন্দে বিসিকেভি” -এর জন্য “বেস্ট ডকুমেন্ট্রি” অ্যাওয়ার্ড জিতে নিয়েছে। ময়ুখের কথায়, “তার বন্দে বিসিকেভি ডকুমেন্ট্রি তৈরির সময় সব থেকে বেশি সহযোগিতা পেয়েছিল তার সহপাঠী ও ছাত্রাবাসের রুমমেটদের, ডকুমেন্ট্রির মূল চরিত্রে তার সহপাঠী এবং অন্যান্য ছাত্রছাত্রীরা অভিনয় করেছে। পরবর্তীতে “শোণিতো” তৈরীর ক্ষেত্রে সে সহযোগিতা পেয়েছে তার পরিবার, আত্মীয়-স্বজন এবং পাড়া-প্রতিবেশীর। তার তৈরি ডকুমেন্ট্রিতে সমস্ত চরিত্রে অভিনয় করেছেন তারাই। ময়ুখের একের পর এক পুরস্কার এবং অ্যাওয়ার্ড জিতে নেওয়ায় আন্তরিকভাবে আনন্দ প্রকাশ করেছে তার সহপাঠী ও ছাত্রাবাসের রুমমেটরা।
এখনো পর্যন্ত জিতে নেওয়া সমস্ত পুরস্কারের মধ্যে অন্যতম “বন্দে বিসিকেভি”-এর জন্য জাতীয় স্তরের নির্দেশকের সম্মান, আর তাতে সম্মান বেড়েছে “বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের”ও। সেই কথাই জানালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোনমি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড: মহাদেব প্রামাণিক। শুভেচ্ছাও জানালেন ময়ুখ কে। ড: মহাদেব প্রামাণিক, ময়ুখ ভট্টাচার্য্যের ভুয়সী প্রশংসা করে বলেন, “একের পর এক পুরস্কার ও অ্যাওয়ার্ড জিতে নিয়ে ময়ূখ নিজের আত্মপ্রকাশের সাথে সাথে বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এর সম্মানও বাড়িয়ে তুলেছে। শুধু ময়ুখের নয়, ময়ুখের প্রচেষ্টা ও সাফল্যে ময়ুখের সাথে সাথে বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাথায়ও সম্মানের পালক জুড়েছে।”