টাইমস বাংলা ডেস্ক – তরুণ মজুমদারের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, ‘ভিন্নধারার রুচিসম্মত সামাজিক চলচ্চিত্র নির্মাণে তরুণ মজুমদার উজ্জ্বল নিদর্শন রেখে গেছেন। তাঁর ছবিতে রবীন্দ্রসংগীতের প্রয়োগ দর্শককে আবিষ্ট করে রাখে।’
রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বরাবরই মমতা-বিরোধী মুখ হিসেবে দেখা গিয়েছে তরুণ মজুমদারকে। সেই বিভাজন দূরে সরিয়ে রেখে বর্ষীয়ান পরিচালকের খোঁজ নিতে কিছুদিন আগেই এসএসকেএম-এ হাজির ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোকবার্তায় তিনি লেখেন,’তরুণ মজুমদার পরিচালিত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র , বালিকা বধূ, শ্রীমান পৃথ্বীরাজ, ফুলেশ্বরী, দাদার কীর্তি, ভালবাসা ভালবাসা, সংসার সীমান্তে, গণদেবতা, শহর থেকে দূরে, পথভোলা, চাঁদের বাড়ি, আলো ইত্যাদি উল্লেখের দাবী রাখে।…. তাঁর প্রয়াণ চলচ্চিত্র জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি। আমি তরুণ মজুমদারের পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’
শোকপ্রকাশ করে দেবশ্রী রায় বলেন, আমার সব শেষ হয়ে গেল! ভাবিনি এ ভাবে আমার পৃথিবীটা নিমেষে এলোমেলো হয়ে যাবে। তরুণদা নেই! আমি কী করব? কে আমাকে পথ দেখাবে? জানি না। ভাবতে পারছি না। আমার মা-বাবার মতো ছিলেন তরুণদা আর সন্ধ্যাদি। আমার জীবনের প্রত্যেকটা ধাপে সঙ্গে থেকেছেন ওঁরা। তরুণদা বলতেন, ‘আমার তো সন্তান নেই। তুই আমার মেয়ে।’ আর সারাটা জীবন ঠিক সে ভাবেই ভালোবেসে গিয়েছেন আমাকে। নিজের মতো করে তৈরি করে নিয়েছেন। মূর্তিতে যেন প্রাণদান করেছেন। সেই ‘কুহেলি’-তে প্রথম কাজ ওঁর সঙ্গে। তখন আমি কত ছোট! লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন-এর কিছুই বুঝি না। ইন্ডাস্ট্রির অ-আ-ক-খ ওঁর কাছ থেকেই শেখা। আর সেই মানুষটাই আজ আমাকে রেখে চলে গেলেন? একা করে দিলেন তাঁর মেয়েকে?