টাইমস বাংলা ডেস্ক : সম্ভাবনা ছিলই। এবার বনবিভাগের ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়লো মাদি চিতাবাঘ। তাও আবার দিনের আলোয়। একেবারে ভোরের দিকে। ফলে পুরুলিয়ার কোটশিলা বনাঞ্চলের সিমনি বিটের জাবর পাহাড়-জঙ্গলে জোড়া চিতাবাঘের রহস্যভেদ হল। এবং তার কিনারা হল বন্যপ্রাণের মিলনকালেই! বছর দুই ধরে নানা জল্পনার পর।একই ট্র্যাপ ক্যামেরায় দুটি চিতাবাঘের পৃথক পৃথক ছবি। একটি রাতের অন্ধকারে। আরেকটি ভোরের আলোয়। গত ২৭ জুন, রাত ১ টা ৫৫ মিনিট ৪১ সেকেন্ডে যে চিতাবাঘের ছবি ট্র্যাপ ক্যামেরায় বন্দি হয় তা একেবারে হৃষ্টপুষ্ট। যা বারবার ধরা দিয়েছে শিকারের সামনে। আবার কখনও একা, কখনও আবার শিকার ভক্ষণে।আর যে ছবি ভোরের আলোয় ধরা পড়েছে, তা গত ২৯ জুন ভোর চারটে ৫৮ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের। এই চিতাবাঘটি মাদি। পুরুষ চিতাবাঘের মতো হৃষ্টপুষ্ট নয়। খানিকটা লম্বাটে গড়নের। সেইসঙ্গে উচ্চতাতেও ছোটl পুরুষ ও মাদি চিতাবাঘের পার্থক্য যেমনটা হয় ঠিক তেমনই।পুরুলিয়া বনবিভাগের ডিএফও দেবাশিস শর্মা বলেন, “জোড়া চিতাবাঘের সম্ভাবনা ছিলইl ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়া ছবির মধ্য দিয়ে সেটা অনেকাংশই নিশ্চিত হয়ে গেল। তবুও আমরা সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত হতে বর্ষার মরশুমে পায়ের ছাপ নেব। সেই সঙ্গে ট্র্যাপ ক্যামেরার মাধ্যমে ওই জোড়া চিতাবাঘ এক ফ্রেমে ধরা দেয় কিনা, সেই নজরদারি চলছে ধারাবাহিকভাবে।”ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়া এই জোড়া চিতাবাঘের ছবি এলাকার বাসিন্দারা দেখতে পাওয়ায় জাবর গ্রামের বাসিন্দা রামবিলাস হেমব্রম বলেন, “বনদপ্তরের ট্র্যাপ ক্যামেরায় জোড়া চিতাবাঘের ছবি দেখতে পেয়েছি। দুটি চিতাবাঘ আমাদের জাবর গ্রামের পাহাড়-জঙ্গলেই রয়েছে। মাঝেমধ্যে গরু, ছাগল খেয়েই চলেছেl তবুও আমরা চাই ওই দুটি বাঘ এই জঙ্গলে ভালভাবে থাকুক। এখন বর্ষায় গোপন জীবনযাপনের সময় আমরা সেভাবে জঙ্গলেও যাচ্ছি না।”