টাইমস বাংলা ডেস্ক -সম্পর্কের টানাপোড়েন নাকি আর্থিক সংকট? গড়িয়াহাট ফ্লাইওভার থেকে ঝাঁপ দিয়ে তরুণীর আত্মহত্যার চেষ্টায় একাধিক প্রশ্নের ভিড়। কর্মস্থলে ওই তরুণী কোনও জটিল সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিলেন কিনা, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। আপাতত হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন তরুণী। পুলিশ তাঁর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে আসল কারণ খোঁজার চেষ্টা করছে। পুলিশ জানিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের বাসিন্দা ওই যুবতী দক্ষিণ কলকাতার গড়িয়াহাট অঞ্চলের একটি সোনার দোকানের কর্মচারী। সাধারণত কাজ শেষ হওয়ার পর বালিগঞ্জ স্টেশন থেকে তিনি ট্রেন ধরে বাড়ি যান। রবিবার রাতে কাজ শেষ হওয়ার পর দোকান তথা শোরুম থেকে বেরোন তিনি। বালিগঞ্জ স্টেশনে না গিয়ে গড়িয়াহাট ফ্লাইওভারের দিকে যান। ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে হাঁটতে শুরু করেন। ফ্লাইওভারের মাঝামাঝি এসে উপর থেকে ঝাঁপ দেন।তখনই নিচে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল একটি ট্যাক্সি। চলন্ত ট্যাক্সির উপর গিয়ে পড়েন যুবতী। ট্যাক্সিটির ছাদ ও অন্য অংশ তুবড়ে যায়। পথচারী ও কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করেন। রক্তাক্ত অবস্থায় যুবতীকে শরৎ বসু রোডের উপর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়। পুলিশের ধারণা, সম্পর্কের টানাপড়েনের জেরেই ঝাঁপ দেন যুবতী। তবে আত্মহত্যার চেষ্টার নেপথ্যে আর্থিক সংকট রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গড়িয়াহাট ফ্লাইওভার থেকে তরুণীর ঝাঁপ দেওয়ার ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।