টাইমস বাংলা ডেস্ক -স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে একাধিকবার নার্সিংহোম এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে হুঁশিয়ারি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বর্ধমানের জনসভা থেকে এনিয়ে আরও একবার কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে কোনও গরমিল বা দুর্নীতি হলে আইনি পদক্ষেপ করা হবে বলে হুঁশয়ারি দিয়েছিলেন। কিন্তু, তারপরে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে গড়মিল বা দুর্নীতি অব্যাহত রয়েছে। এবার এনিয়ে পদক্ষেপ করল স্বাস্থ্য দফতর।স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে দুর্নীতি বা নিয়ম না মানার দায়ে ৭ টি নার্সিংহোম এবং বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল স্বাস্থ্য দফতর। উত্তর ২৪ পরগনা, বীরভূম-সহ ৪ টি জেলার এই সাতটি নার্সিংহোম এবং বেসরকারি হাসপাতালকে জরিমানা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরে এই সমস্ত নার্সিংহোম, হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে শুনানি হয়েছিল। তাতে প্রতিটি নার্সিংহোম, বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তাদের মোট দেড় কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর। এই নার্সিংহোমগুলির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ রয়েছে সেগুলি হল স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও রোগীর কাছ থেকে টাকা নেওয়া, ভুয়ো বিল ধরিয়ে দেওয়া, একই রোগীর দু’বার বিল করা প্রভৃতি। রাজ্যের এক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, এই সমস্ত হাসপাতাল, নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তাদের জরিমানার কথা জানানো হয়েছে।স্বাস্থ্য আধিকারিকদের মতে, এর আগেও একাধিক নার্সিংহোমকে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে জরিমানা করা হয়েছে। তারপরেও যে অন্যান্য নার্সিংহোমগুলি সতর্কতা হচ্ছে না তা বোঝা যাচ্ছে। যদিও বেশকিছু নার্সিংহোম এবং বেসরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে ভালোই পরিষেবা দিচ্ছে বলে জানান এক স্বাস্থ্য আধিকারিক। তাঁর কথায়, সাধারণ মানুষের চিকিৎসা পরিষেবার জন্য যে প্রকল্প জড়িয়ে রয়েছে সেই প্রকল্পে দুর্নীতি একেবারে বরদাস্ত করা হবে না। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বর্ধমানের জনসভা থেকে বলেছিলেন, ‘কোনও বেসরকারি হাসপাতাল বা নাসিংহোম স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও ফিরিয়ে দিলে এফআইআর করুন। পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।’