টাইমস বাংলা ডেস্ক, উত্তরবঙ্গ- ফালাকাটার যুবক–যুবতীর বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু বাড়ির দেখে দেওয়া পাত্রের সঙ্গে বিয়ে হলেও মনের আদানপ্রদান ঘটেনি। এই ১২ বছর ধরে নিজেকে অনেকটা আগলে রেখেছিলেন ওই যুবতী। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে মজেছিলেন যুবতী স্ত্রী। সেটা টের পেয়েছিলেন যুবক স্বামীও। তবে এই ঘটনায় কোনও খুন হয়নি। বরং প্রেমিকের হাতে স্ত্রীকে তুলে দিয়ে ভালবাসার বন্ধন তৈরি করলেন স্বামী। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিয়ের ১২ বছর কেটে গেলেও স্ত্রী হিসাবে স্বামীকে মন দিতে পারেননি। বরং দূরত্ব তৈরি হচ্ছিল স্বামীর সঙ্গে। ধীরে ধীরে সামনে আসে স্ত্রী বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। মন দিয়েছেন প্রেমিককে। তাই সেই সম্পর্ককে পরিণতি দিতে স্বামী বিবাহবিচ্ছেদ করেন। তারপর প্রেমিকের সঙ্গে ওই যুবতী স্ত্রীর বিয়ে দিলেন স্বামী। আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটায় এই প্রেম কাহিনীই এখন চর্চিত বিষয় হয়ে উঠেছে। পরিবার সূত্রে খবর, ২০০৯ সালে ফালাকাটার যুবক–যুবতীর বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের পর প্রথম কয়েক বছর ভালই কাটছিল। তাল কাটে দ্বিতীয় পুরুষ জীবনে আসার পর। সংসারে দূরত্ব তৈরি হয়। এক ছাদের তলায় যেন অচেনা মানুষ। চেনা মুখ মুহূর্তে অচেনা হয়ে গেল। বিছানার চেনা মানুষ অচেনা হতে শুরু করল অন্তরে। শাঁখা–সিঁদুর পরা বন্ধ করে দিয়েছিলেন স্ত্রী। তিনি অধিকাংশ সময় ব্যস্ত থাকতেন মোবাইল ফোনে। সমস্তটা ধরা পড়ে স্বামীর নজরে। কিন্তু তিনিই এগিয়ে এসে প্রথমে বিবাহবিচ্ছেদ করেন। এরপর স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর প্রেমিকের বিয়ের আয়োজন করলেন প্রথমপক্ষের স্বামীই। কোচবিহারের তুফানগঞ্জ শহরের এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল ওই যুবতী স্ত্রীর। সেটাকেই এক সূতোয় বাঁধলেন প্রথমপক্ষের স্বামী। সোমবার রাতে প্রথমপক্ষের স্বামী দাঁড়িয়ে থেকে তাঁর প্রাক্তন স্ত্রীর ও প্রেমিকের চার–হাত এক করে দিলেন। রেজিস্ট্রির মাধ্যমে জীবনের নতুন পর্ব শুরু করেছেন তাঁরা। বুকে পাথর রেখে বিদায় জানালেন পূর্বের স্বামী। শুধু বললেন, ‘তুমি ভাল থেকো’।