টাইমস বাংলা ডেস্ক, হাওড়া – এক ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে মেক্সিকো সিটির লেসলির সঙ্গে বালির অরিজিতের আলাপ হয়। অনলাইনে চ্যাট করতে করতেই পরস্পরকে ভালোবেসে ফেলেন ওঁরা। এতটা দূরত্বও মনের আদান প্রদানে কখনই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।
ইচ্ছা থাকলে কিছুই বাধা নয়। ধর্ম, দূরত্ব, ভাষার ব্যবধান মুছে যায় নিমেষে। এমনই মায়া ভালোবাসার। সেই ভালোবাসারই টানে এবার সুদূর মেক্সিকো থেকে হাওড়ার বালি ছুটে এলেন এক তরুণী। বিয়ে করলেন বাঙালি যুবককে।
পাত্রীর নাম লেসলি। মেক্সিকো সিটির বাসিন্দা তিনি। এদিকে পাত্র বালির বাসিন্দা অরিজিত্ ভট্টাচার্য। তিনি এক বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন। বাড়িতে বাবা, মা। এক বোনের বিয়ে হয়ে গিয়েছে।
মহামারীকালে এক ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে লেসলির সঙ্গে অরিজিতের আলাপ হয়। অনলাইনে চ্যাট করতে করতেই পরস্পরকে ভালোবেসে ফেলেন ওঁরা। লেসলি ইংরাজিতে ততটা সরগড় নন। কিন্তু মনের আদান প্রদানে সেটা কখনই বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।
মেক্সিকো সিটিতে বড়, যৌথ পরিবারের সদস্য লেসলি। সেখানে তাঁদের নির্মাণ সামগ্রীর পারিবারিক ব্যবসা রয়েছে।
চ্যাট থেকে গল্প গড়ায় ফোনে। ফোনে দীর্ঘদিন কথা বলার পর দেখা করার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। কিন্তু মাঝে যে এত বেশি দূরত্ব। প্রথমে ঠিক হয়, অরিজিত্ই যাবেন মেক্সিকোতে।
কিন্তু পাসপোর্ট, ভিসার সমস্যার কারণে সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। কিন্তু লেসলিও যথেষ্ট সাহসী। তিনিই ভারতে আসবেন বলে জানিয়ে দেন।
কিন্তু প্রথম দেখা করেই তো বিয়ের মতো এত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। তাই তাঁরা ঠিক করেন, প্রথমে কয়েকদিন একটু কথাবার্তা বলবেন দু’জনে।
যেমন ভাবা, তেমন কাজ। চলতি বছর ২৯ এপ্রিল দিল্লি পৌঁছন লেসলি। হাওড়া থেকে দিল্লি যান অরিজিত্। সেখানে তাঁদের প্রথম সামনাসামনি দেখা হয়।
সামনাসামনি দেখা করে, কথা বলে আরও বেশি করে পরস্পরের প্রেমে পড়ে যান তাঁরা। তাই কথা এগোনোর সিদ্ধান্ত নেন।
মে মাসের প্রথম সপ্তাহে বালির বাড়িতে লেসলিকে নিয়ে আসেন অরিজিত্। বিদেশি কনেকে দেখে সকলেই অবাক হয়ে যান।
তবে অরিজিতের পরিবারের সদস্যরা সব সময়েই তাঁর পাশে ছিলেন। তাই বিয়েতে কোনও সমস্যা হয়নি।