টাইমস বাংলা ডেস্ক, কলকাতা – প্রাথমিক টেট দুর্নীতিতে আদালতের নির্দেশে হাজিরা দিতে সোমবার বিকেলে সিবিআইয়ের দফতরে পৌঁছলেন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি ও সচিব। সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার মধ্যে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল তাঁদের। বিকেল ৫টা ২৫ মিনিটে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য ও সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচীকে নিজাম প্যালেসে ঢুকতে দেখা যায়। ২০১৪ প্রাথমিক টেট দুর্নীতি মামলায় সোমবার ২৬৯ জনকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সঙ্গে তাদের বেতন ফেরতেরও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এর পর এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়ে বিকেল ৫.৩০ মিনিটের মধ্যে FIR দায়ের করে তদন্ত শুরুর নির্দেশ দেন। সঙ্গে জানান বিকেল ৫.৩০এর মধ্যে সিবিআইয়ের সামনে হাজিরা দিতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি ও সচিবকে। এদিন আদালতে মামলাকারীর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম দাবি করেন, ২০১৪ প্রাথমিক নিয়োগে যে দ্বিতীয় মেধাতালিকা তৈরি করা হয়েছিল তা বেআইনি। ওই মেধাতালিকায় ঠাঁই পাওয়া প্রত্যেকে অযোগ্য। পরীক্ষায় অতিরিক্ত ১ নম্বর করে দিয়ে তাদের মেধাতালিকায় আনা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের কাছে এর কারণ জানতে চাইলে তাদের আইনজীবী বলেন, আসলে ওই বছর প্রশ্নপত্রে ১টি প্রশ্ন ভুল ছিল। সেজন্য অতিরিক্ত ১ নম্বর দেওয়া হয়েছে ছাত্রছাত্রীদের। তখন বিচারপতি প্রশ্ন করেন ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে বেছে বেছে এই ২৬৯ জনকেই কেন অতিরিক্ত নম্বর দেওয়া হল? এর কোনও জবাব দিতে পারেননি সংসদের আইনজীবী। এর পরই ওই ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেয় আদালত। এই ২৬৯ জনের মধ্যে নদিয়া জেলায় রয়েছেন বেশ কয়েকজন শিক্ষক। রয়েছেন কল্যাণী শহরের ঐশ্বর্য গিরি নামে এক বাসিন্দা। বাড়ি কল্যাণীতে হলেও বিয়ে হয় হরিণঘাটায়। ঐশ্বর্যর বাবা কাঁচরাপাড়া হার্নেট স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক।