টাইমস বাংলা ডেস্ক, কলকাতা – গরুপাচারকাণ্ডে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তার পরই সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, সায়গলের নিউ টাউনের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ সোনা। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ আধিকারিকদেরও। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, নিউ টাউনে সায়গল হোসেনের স্ত্রীর নামে ২টি ফ্ল্যাট রয়েছে। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে ৭০ কিলোগ্রাম সোনা উদ্ধার হয়েছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ৩৬ কোটি টাকা। এছাড়াও সায়গল ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে একাধিক সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে সিবিআই। সেই সব সম্পত্তি ও সোনার আয়ের উৎসের হদিশ দিতে না পারাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে সায়গলকে।
বৃহস্পতিবার পঞ্চমবারের জন্য সায়গলকে তলব করেছিল সিবিআই। বেলা ২.৩০ মিনিট নাগাদ নিজাম প্যালেসে পৌঁছন তিনি। প্রায় ৫ ঘণ্টা জেরার পর তাঁকে গ্রেফতার করেন গোয়েন্দারা। রাজ্য পুলিশের কন্সটেবলের চাকরি করা সায়গল কোথা থেকে এত টাকা পেলেন তার কোনও গ্রহণযোগ্য জবাব দিতে পারেননি বলে গোয়েন্দাসূত্রে জানা গিয়েছে।
গত সপ্তাহে টানা ২ দিন সায়গলের ডোমকলের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। সেখান থেকেও উদ্ধার হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সব নথি। যাতে জানা গিয়েছে, সায়গলের আত্মীয়দের নামেও রয়েছে একাধিক সম্পত্তি।
অনুব্রত মণ্ডলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। তাঁর ফোন থেকেই দলের যাবতীয় কাজ পরিচালনা করেন অনুব্রত। সায়গলের গ্রেফতারি ও তার পরে সোনা উদ্ধারের ঘটনায় অনুব্রতর ওপর চাপ আরও বাড়ল বলে মনে করা হচ্ছে।