টাইমস বাংলা ডেস্ক, ঝাড়গ্রাম – হাতির হানা অব্যাহত। হাতির তাণ্ডবে তছনছ হয়ে গেল ঝাড়গ্রামের একাধিক এলাকা। যার জেরে রীতিমতো আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। ফসলের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তারা। ঝাড়গ্রামের পুকুরিয়া এলাকায় ৭৫ একটি দল গতকাল থেকে তান্ডব চালাচ্ছে। ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পাশাপশি বেশ কয়েকটি বাড়িও ভাঙচুর করেছে এই হাতির দল। বনদফতরের পক্ষ থেকে হাতির দলকে জঙ্গলে তাড়ানোর চেষ্টা করা হলেও এখনও পর্যন্ত সফল হননি বনকর্মীরা। বনদফতর সূত্রের খবর, পুকুরিয়ার কুন্ডলডিহি, পুকুরিয়া, সিমুলডাঙ্গা, বহড়াশলি প্রভৃতি এলাকার একাধিক গ্রামে তাণ্ডব চালিয়েছে হাতির দলটি। জানা গিয়েছে, হাতির তাণ্ডবে এখনও পর্যন্ত তিনটি বাড়ি ঘর ভেঙেছে। এর জেরে প্রচণ্ড আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা। ফসল তো বটেই আম, কাঁঠাল, জাম প্রভৃতি গাছের ডালপালা এবং ফল খেয়ে সাবাড় করে দিচ্ছে এই হাতির দল। বাদ যায়নি পুকুরিয়া ভারত সেবা সংঘ আশ্রমও। এই আশ্রমের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে যায় বেশ কয়েকটি হাতি। এছাড়াও, খাদ্যশস্য ভর্তি একটি ট্রাকে হানা দেয় হাতির দল। খবর পাওয়ার পরেই বনদফতর হাতির দলকে জঙ্গলে ফেরানোর জন্য বারবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছে। আজ হাতিগুলিকে জামদানির জঙ্গলের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বনকর্মীরা। কিন্তু, ওই দলে অনেক হাতি থাকায় তাদের সামাল দিতে পারছেন না বনকর্মীরা। হাতির দলকে তাড়াতে গেলেই তারা আরও বেশ কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে যাচ্ছে। ফলে তাদের জঙ্গলে তাড়াতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন বনকর্মীরা। প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাসে একাধিবার জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে হাতি। এর ফলে ফসলের যেমন ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে তেমনি প্রাণহানির আশঙ্কাও থাকছে। এই অবস্থায় স্থানীয়দের সতর্ক থাকতে বলেছেন বনকর্মীরা। তবে এ নিয়ে বনদফতরের গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন স্থানীয়রা।