টাইমস বাংলা ডেস্ক, নদিয়া – ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা থেকে শুরু গরু ও কয়লা পাচার মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। সেইসঙ্গে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলারও তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু শুধু তদন্ত করলেই হবে না, দ্রুত রেজাল্ট দেখতে চান বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিলীপবাবুর বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট, সিবিআইয়ের ভূমিকায় তিনি সন্তুষ্ট নন। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘আদালত নির্দেশ দিয়েছে। মানুষ ন্যায় বিচার চাইতে আদালতে গিয়েছে। কিন্তু সিবিআই যদি সক্রিয় না হয় তাহলে আদালতকে অবমাননা করা হবে। এর ফলে মানুষের আস্থা নষ্ট হবে।’ একইসঙ্গে সিবিআইয়ের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে দিলীপবাবু জানান, ‘সিবিআই যদি কাউকে ভুবনেশ্বরে পাঠাতে পারে, তাহলে এবারে তো আরও ভয়ঙ্কর অপরাধ হয়েছে। কোটি কোটি টাকার আর্থিক অপরাধ হয়েছে। হিংসা হয়েছে। মানুষকে খুন করা হয়েছে। ধর্ষণ করা হয়েছে। সেজন্য সিবিআইকে আরও সক্রিয় হওয়া উচিত।’ উল্লেখ্য, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তৃণমূলের অনেক নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। পাশাপাশি চলছে গরু ও কয়লা পাচার মামলার তদন্তও। গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের মুখোমুখি হয়েছিল বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় যখন তাঁকে তলব করা হয়, তখন দেখা যায় তিনি হাজিরা এড়িয়ে যাচ্ছেন। এদিকে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতে হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সেইসঙ্গে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হয়েছেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীও। কিন্তু কেউই এখনও গ্রেফতার হননি।