টাইমস বাংলা ডেস্ক – রোজকারের এই জীবন যাপন, বেঁচে থাকার লড়াইয়ে কি হাঁপিয়ে উঠেছেন? ভালো লাগছে না এই মনুষ্য জীবন? মাঝে মাঝে মনে হয় যদি পাখি হয়ে উঠতে পারতাম। অথবা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো নিয়ম-বালাই হীন একটা কুকুর হয়ে উঠতাম, কেমন হতো তবে? ভাবছেন তো, এ আবার হয় নাকি! তাহলে সত্যি সত্যি গল্পের গরু গাছেই উঠত! এমন অদ্ভুত কথা শুনে সাধারণ মানুষের এই ভাবনাটা হওয়াও স্বাভাবিক। কিন্তু এমনই এক স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দিল এক যুবক। গল্পটি আসলে এক জাপানি যুবক টাকোকে নিয়ে। এই একঘেয়ে প্রতিদিনের মানুষের জীবন তার আর ভালো লাগছিল না। রোজ সকাল ঘুম থেকে ওঠা , সারাদিনের কাজ, রাতে ঘুমতে যাওয়া। আবার পরের দিন সকালে উঠে একই রুটিন। এসবে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন জাপানের টাকো। তার চেয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো ওই কুকুরগুলো কত সুন্দর! ওদের এই স্বাধীন, খোলামেলা জীবন বেশ পছন্দ ওই যুবকের। অনেকদিন ধরেই তিনি ভাবছিলেন, যদি কুকুর হতে পারতো তাহলে ভালো হত। তবে শুধু ভাবনাতেই তিনি থেমে থাকেননি। একদিন ভাবনাটাকে সত্যি করে ফেলেন ওই জাপানি যুবক। লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে নিজেকে আস্ত একখানা কুকুরে পরিণত করে ফেলেছেন জাপানের বাসিন্দা টাকো। নিজেকে কুকুর বানাতে দেশের এক নামকরা পোশাক সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। হুবহু কুকুরের মতো পোশাকের অর্ডার দেন। শর্ত ছিল এমন একটা পোশাক তাঁকে বানিয়ে দিতে হবে যা পরলে কোনওভাবে বোঝা না যায় যে তিনি আসল কুকুর নন, একজন মানুষ। কথা মত টাকোকে হুবহু কুকুরের মতো দেখতে পোশাক বানিয়েও দিয়েছে ওই পোশাক সংস্থা। যা বানাতে খরচ হয়েছে ১১ লাখ টাকা। কুকুরের সেই বেশ পরেই এখন দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন জাপানের যুবক। কুকুরের মতো জীবন যাপন করতে শুরু করেছেন তিনি। মানুষের দৈনন্দিন জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা থেকেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন টাকো। তাঁকে দেখে সত্যিই বোঝা যাচ্ছে না তিনি কুকুর না মানুষ। এমন উদ্ভট শখ হলেও তা পূরণ করে সকলকে অবাক করে দিয়েছেন তিনি।