টাইমস বাংলা ডেস্ক, দিল্লি – মূল্যবৃদ্ধির বাজারে আমজনতাকে স্বস্তি দিতে নয়া পদক্ষেপ কেন্দ্র। পেট্রল-ডিজেল, ভোজ্য তেলের পর চিনির দাম কমাতে সিদ্ধান্ত নিল মোদি সরকার। পেটে রয়েছে খিদে, কিন্তু সামান্য জিনিস কিনতেই পকেট হচ্ছে ফাঁকা। ক্রমশ পণ্য-সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধিতে হাঁপিয়ে উঠেছেন সাধারণ মানুষ। এমত অবস্থায় পেট্রোল ডিজেল ও ভোজ্যতেলের পর চিনির দামেও লাগাম টানতে চলেছে কেন্দ্র।মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, বছরে ২০ লক্ষ টন করে অশোধিত সূর্যমুখী তেল এবং সয়াবিন তেল আমদানি করা যাবে। ফলতো প্রয়োজন পড়বে না আমদানি শুল্ক এবং কৃষি পরিকাঠামো ও উন্নয়ন সেস দেওয়ার। দু’বছরের জন্য এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে অর্থমন্ত্রক। ফলে লিটার প্রতি ৩ টাকা করে কমবে ভোজ্য তেলের দাম, বলে মনে করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় ছ’বছরের এই প্রথম চিনি রপ্তানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি এবং কয়েকটি ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। অর্থ মন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে, ১ জুন থেকে বছরে ১ কোটি টনের বেশি চিনি রপ্তানি করা যাবে না। ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেডের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, চিনি রপ্তানি চলতি বছরের ১ জুন থেকে সীমাবদ্ধ বিভাগে রাখা হয়েছে। সিএক্সএল এবং টিআরকিউয়ের অধীনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করা চিনির ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না বলেও জানানো হয়।
ফলে অভ্যন্তরীণ বাজারে চিনির পরিমাণ বাড়বে এবং তাতেই মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানা যাবে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।