টাইমস বাংলা ডেস্ক, নদিয়া – নদিয়ার চাপড়ায় তৃণমূল নেতা রাজীব শেখের ২ বাড়িসহ বিশাল সম্পত্তি। বাবা – ছেলের কীর্তি দেখে হতবাক দলেরই একাংশ। কিছু দিন আগেও যে ছিল তাঁর ডান হাতের মতো, সেই রাজীবের দায় এখন ঘাড় থেকে ঝাড়তে মরিয়া স্থানীয় বিধায়ক রুকবানুর রহমান। করিমপুর – কৃষ্ণনগর সড়কের পাশে ২ বউয়ের জন্য জোড়া প্রাসাদ বানিয়েছের রাজীব। আগাপাশতলা দামি মার্বেলে মোড়া। তবে ছোট বউয়ের বাড়িতে একটি ঘর কম। তৃণমূলেরই একাংশের দাবি, বিধায়ক রুকবানুরের ঘনিষ্ঠ হয়ে এলাকার ঠিকাদারির নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিয়ে নেন রাজীব। চাপড়া ব্লকের সমস্ত ঠিকাদারি দীর্ঘদিন নিয়ন্ত্রণ করেছেন তিনি। রাজীবের বড় বউ আসমাতারা বর্তমানে চাপড়া ২ নম্বর পঞ্চায়েতের প্রধান। বাবা কাংলা শেখ ছিলেন দলের অঞ্চল সভাপতি। রাজীব ছিলে সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি। স্থানীয়রা বলেন, ২০১১ সালের পর থেকে রকেটের মতো উত্থান কাংলা ও রাজীবের। এক সময় স্থানীয় একটি পেট্রল পাম্পে নৈশপ্রহরীর কাজ করতেন কাংলা। তৃণমূল ক্ষমতায় আসতেই লাফিয়ে বাড়তে শুরু করে তার সম্পত্তি। ২টো বাড়ি, একের পর এক গাড়ি যোগ হয় তাঁর বহরে। এমনকী বেনামে ৩টি ইটভাটা চালান তিনি। সঙ্গে এলাকায় বেশ কয়েক বিঘা জমি রয়েছে তার। যার বাজার দর বেশ কয়েক কোটি টাকা। রয়েছে পাটের গুদাম। রাজীব শেখের দাবি, সব সম্পত্তি সৎ পথে করা। ঠিকাদারি করে, পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন করেছি। এছাড়া পৈত্রিক জমি বিক্রি করে টাকা পেয়েছি। বাবা দীর্ঘদিন ধরে পাটের ব্যবসা করেন। তার টাকাও রয়েছে।
চাপড়ার বিধায়ক রুকবানুর বলেন, ‘আমরা জানতাম রাজীব ঠিকাদারি করে। কিন্তু ওর বিপুল সম্পত্তির টাকা কোথা থেকে পেল তার জবাব দিতে পারিনি। এর পর আমরা ওকে পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছি।’