টাইমস বাংলা ডেস্ক, কলকাতা – অর্জুন সিং প্রায় তিন বছর পর তৃণমূলে ফিরলেন ভাটপাড়ার দাপুটে নেতা তথা বিজেপি সাংসদ। রবিবার ক্যামাক স্ট্রিটে তৃণমূল সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে জোড়াফুল পতাকা হাতে নিলেন তিনি। আর তারপরই বদলে ফেললেন নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলের ছবি। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে ঘাসফুল শিবির ছেড়ে পদ্মবনে পা রেখেছিলেন ভাটপাড়ার তিনবারের বিধায়ক অর্জুন সিং। ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, অর্জুন আশা করেছিলেন, তাঁকে বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে টিকিট দেওয়া হবে। কিন্তু আশাহত হন। আর সেই কারণেই সম্ভবত অসন্তুষ্ট হয়ে জোড়া ফুল শিবির ত্যাগ করে গেরুয়া বনে প্রবেশ করেছিলেন। তার ‘পুরস্কার’ হিসেবে ২০১৯ এ বিজেপি অর্জুন সিংকে বারাকপুরের প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ের সুযোগ দেন। বারাকপুরের ২ বারের তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীকে অনায়াসে হারিয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন ভাটপাড়ার দাপুটে নেতা অর্জুন সিং। তারপর অবশ্য পদ্মবনে অর্জুনের কাজকর্মের রাস্তা ততটা মসৃণ হয়নি। সম্প্রতি পাটশিল্প নিয়ে কেন্দ্রীয় নীতির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন বিজেপি সাংসদ। পাট শ্রমিকদের স্বার্থে প্রয়োজনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও একমঞ্চে আন্দোলনের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। দফায় দফায় কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি। ত্রিপাক্ষিক আলোচনা হয় জুট বোর্ডের সঙ্গেও। সূত্রের খবর, শেষ বৈঠকে অর্জুন সিংয়ের চাপের মুখে পড়ে পাটের বর্ধিত দাম প্রত্যাহার করার পথে হেঁটেছে জুট বোর্ড। তা নিঃসন্দেহে অর্জুন সিংয়ের সাফল্য। তবে তারপরও পদ্মবনে থাকতে আর চাননি বারাকপুরের সাংসদ। এদিন কলকাতায় আসার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বললেন, ”তৃণমূল কংগ্রেস তৈরির আগে থেকেই আমার সঙ্গে মমতার সম্পর্ক ভাল। রাজনীতির বাইরেও সম্পর্ক থাকে একটা। আমি তো তৃণমূলে ২৩ নং হয়ে থাকতে চাই।” এবার গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে দ্বন্দ্ব আরও বাড়িয়ে অর্জুন সিং ফিরে এলেন তৃণমূলে। পুরনো দলে ফিরে নতুনভাবে কাজ করতে চান তিনি।