টাইমস বাংলা ডেস্ক, পুরুলিয়া – ফের উদ্ধার হল মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার। সেইসঙ্গে পাওয়া গেল বোমা। ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার কোটশিলা থানার চিতমু গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়রলা গ্রামে। গোটা ঘটনায় গ্রামে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তবে কে বা কারা এই পোস্টার ও বোমা ফেলে গেল তা স্পষ্ট নয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। গতকাল মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, মাওবাদী বলে কিছু নেই। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের একদিনের মাথায় পুরুলিয়ায় মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টারে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। জানা গিয়েছে, বড়রলা গ্রামের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ থেকে লাল কালিতে লেখা মাওবাদী নামাঙ্কিত একটি পোস্টার উদ্ধার হয়। সেইসঙ্গে প্লাস্টিকের মধ্যে সুতলি বাঁধা অবস্থায় একটি কৌটোও দেখতে পান গ্রামবাসীরা। এরপরই গ্রামবাসীরা পুলিশকে খবর দেয়। কিছুক্ষণের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ। সেইসঙ্গে বম্ব ডিসপোজাল টিমও। তারাই সেটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তবে প্লাস্টিকের মধ্যে বোমা নাকি অন্য কিছু রয়েছে, তা পরে জানা যাবে। এখনই সেই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ‘এই এলাকায় নানা ধরনের গাড়ি আসে। এই ধরনের পোস্টার কোনও দুষ্কৃতী দিতে পারে। এর আগে আরও মাওবাদীরা ২০০৯ সালে এই এলাকায় পোস্টার দিয়েছিল। আমরা এখন শান্তি চাই।’ এর আগে পুরুলিয়ার এই সব এলাকায় মাওবাদীদের নামে একাধিক পোস্টার পড়েছিল। কিন্তু এখন ওই সব এলাকায় তেমন মাওবাদী উপদ্রব নেই। তবে এরইমধ্যে মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টারে এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল মাওবাদী প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ‘মাওবাদী টাওবাদী কিছু নেই। মাওবাদী নিয়ে গুজব ছড়ালে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাওবাদীরা যারা ছিল আগে, তারা আমার সঙ্গে কাজ করে এবং তারা জেনারেলভাবে পুলিশে জয়েন করেছে, প্রায় ১ হাজারের ওপর ছেলেমেয়েকে আমরা চাকরি দিয়েছি হোমগার্ডে, যারা মাওবাদী করত, স্যারেন্ডার করেছে। যারা মাওবাদীদের হাতে মারা গিয়েছে, তাদেরও প্রায় ৫৫৬ পরিবারকে আমরা চাকরি দিয়েছি, গতকালও আমি ৩৭-৩৫ জনের হাতে আমরা চাকরির লেটার তুলে দিয়েছি।’