টাইমস বাংলা ডেস্ক, কলকাতা – রবিবার গড়ফা থানার অন্তর্গত গাঙ্গুলিপুকুরের কাছে ‘আমি সিরাজের বেগম’ খ্যাত অভিনেত্রী পল্লবী দের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। অভিনেত্রীর দেহ উদ্ধার করে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কিন্তু কী কারণে তাঁর মৃত্যু হল বা তিনি কী আত্মহত্যা করলেন? গোটাটাই তদন্ত সাপেক্ষ। পল্লবী দের মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। সেই রিপোর্ট হাতে আসার পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
জানা যাচ্ছে, গড়ফার ফ্ল্যাটে গত মাসের ২৪ তারিখে ভাড়া এসেছিলেন অভিনেত্রী পল্লবী দে। তাঁর সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন এক যুবকের। তবে তিনি কেন আত্মহত্যা করলেন, আদৌ তিনি আত্মহত্যা করেছেন কি না তা তদন্ত করছে গড়ফা থানার পুলিশ। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলাও রুজু করেছে গড়ফা থানার পুলিশ। মাত্র দেড় মাস আগে পল্লবী হাওড়া ছেড়ে গড়ফায় থাকতে এসেছিলেন। রবিবার সকালে হাওড়ার বাড়িতে পল্লবীর দিদার বাৎসরিকের কাজের অনুষ্ঠানও ছিল। আত্মীয় স্বজন এসেছিলেন বাড়িতে। তবে পল্লবীর আসার কথা ছিল কি না, তা তাঁর বাবা জানাননি। তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘কালই তো মাকে ফোন করে ধোকার ডালনার রেসিপি চাইল!’’ তার পরই কিছুটা উদভ্রান্ত ভাবে তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘‘ও খুব বুঝদার মেয়ে ছিল। আত্মহত্যা করার মেয়ে নয়।’’ পল্লবীর বাবার অভিযোগ, ‘‘আমার মনে হয় না মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে। ওকে হয়তো খুনই করা হয়েছে।’’
জানা যাচ্ছে, যে যুবকের সঙ্গে পল্লবী থাকতে শুরু করেছিলেন তাঁর নাম সাগ্নিক চক্রবর্তী। বছর খানেক আগে সম্পর্কের সূত্রপাত। তবে সেই সম্পর্কে সম্প্রতি নাকি জটিলতা তৈরি হয়েছিল। পল্লবীর বাবা মেয়ের মৃত্যু নিয়ে সরাসরি বলছেন, “আমার মনে হচ্ছে সাগ্নিকই সব জানে। এই আমাদের ফোন করে জানায়।” এদিকে রবিবার এমন ঘটনা ঘটার আগে শনিবারও একটি সিরিয়ালের শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন অভিনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলেও ছবি পোস্ট করেছেন। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জেনেছে, আগের দিন রাতে কথা কাটাকাটি হয়েছিল দু’জনের। সেখান থেকে এই পরিণতি কিনা তা এখনও বলা সম্ভব নয়। কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি। ইতমিধ্যে পল্লবীর প্রেমিক সাগ্নিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। তাঁর মোবাইলটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।