টাইমস বাংলা ডেস্ক, উত্তরবঙ্গ – প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে করার দাবিতে অতীতে বহু জায়গায় প্রেমিকাকে ধরনায় বসতে দেখা গিয়েছে। এবার প্রেমিকাকে বিয়ে করার দাবিতে ধরনায় বসলেন প্রেমিক। তুমুল বৃষ্টির মধ্যেও দীর্ঘক্ষণ ধরে প্রেমিকার বাড়ির সামনে ধরনায় বসে থাকলেন প্রেমিক। ঘটনাটি ধূপগুড়ি পুরসভা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম সঞ্জিত রায় তিনি পাশের বাঘোরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা। তার সঙ্গে ধূপগুড়ির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের যুবতী লক্ষ্মী রায়ের সম্পর্ক ৬ বছরের। সঞ্জিত রায়ের পরিবার তাদের সম্পর্ক মেনে নিলেও যুবতীর পরিবার এই সম্পর্ক কিছুতেই মেনে নেয়নি। এমনকি সঞ্জিতের পরিবারের তরফে যুবতীর বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হলেও তা নাকচ করে দেয় লক্ষ্মীর পরিবার। সম্প্রতি লক্ষ্মীর অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক করার চিন্তাভাবনা করছেন তার পরিবার। যা কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি ওই যুবক। এরপরেই লক্ষীর বাড়ির সামনে গতকাল দুপুরে ধরনায় বসেন ওই যুবক। লক্ষ্মীর ছবি নিয়েই তিনি ধরনায় বসে পড়েন। গতকাল বিকেলে তুমুল বৃষ্টির মধ্যেও ধরনায় অনড় থাকে ওই যুবক। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই তাকে দেখতে শয়ে শয়ে মানুষের ভিড় জমে। খবরটি পৌঁছয় ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের কাছে। এরপর তিনি সঞ্জিতের গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যকে নিয়ে বৈঠক করেন। লক্ষ্মীর বাবাও ওই বৈঠকে বসেন। তবে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বিয়েতে তার কোনও আপত্তি নেই। তবে বিয়ে হলে সেই ক্ষেত্রে তারা লক্ষ্মীর সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখবে না। তিনি আর জানান, ‘তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে তা আমার জানা ছিল না। ওই যুবক ধরনায় বসার পর তাকে চলে যেতে বলে আমার বড় ছেলে কিন্তু সে যায়নি। অন্যদিকে, লক্ষ্মীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে গেলে তার মা সংবাদমাধ্যমকে বাধা দেন।