টাইমস বাংলা ডেস্ক, উত্তর ২৪ পরগণা – এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে যাতে অনুপ্রবেশ রুখতে বিএসএফকে সাহায্য করতে বাধ্য হবে স্থানীয় প্রশাসন। বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জে ৩টি ভাসমান BSF চৌকি উদ্বোধন করে একথা বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন বনগাঁর হরিদাসপুরে বিএসএফ ক্যাম্পে একথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর আশা নতুন সীমান্তচৌকির সাহায্যে অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান বন্ধ হবে সীমান্তে। এদিন শাহ বলেন, ‘অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান স্থানীয় প্রশাসনের সাহায্য ছাড়া রোখা মুশকিল। সেই সাহায্যও খুব তাড়াতাড়ি পাওয়া যাবে এমন রাজনৈতিক পরিস্থিতি দ্রুত এখানে তৈরি হবে। জনতার এমন চাপ তৈরি হবে যে সাহায্য করতেই হবে’। অমিত শাহ জানান, ‘বিরোধী দলনেতা আমাকে জানিয়েছিলেন এখানে অনুপ্রবেশ ও চোরাচালানের সমস্যা খুব বেড়েছে। অত্যাধুনিক নতুন এই সীমান্ত চৌকির সাহায্যে সেই সমস্যা একেবারে নির্মূল হয়ে যাবে।’
শাহ জানান, ‘কোচি শিপইয়ার্ডে তৈরি হয়েছে বিএসএফের এই ভাসমান চৌকি। এই চৌকিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। চৌকির সামনের দিকটি বুলেট প্রুফ করা হয়েছে। জওয়ানদের সুবিধার যাবতীয় আয়োজন রয়েছে সেখানে। একবার তেল ভরে ১ মাস জলে ভেসে থাকতে পারবে এই সীমান্ত চৌকি। প্রতিটি চৌকির সঙ্গে থাকবে ৬টি করে টহলদারি নৌকা।’
শাহ আরও বলেন, ‘এদিন হরিদেবপুরে ৮ কোটি টাকা ব্যায়ে ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী সংগ্রশালার শিলান্যাস করা হয়েছে। সাতের দশকে বাংলাদেশে যখন মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছিল তখন হস্তক্ষেপ করে বাংলাদেশ তৈরি করেছে ভারতীয় সেনা ও বিএসএফ। তখন বহু শরণার্থীকে জায়গা দিতে হয়েছে ভারতকে। সেই স্মৃতি ধরে রাখতে এই সংগ্রহশালা তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে।’ সীমান্তরক্ষীদেরও আশ্বস্ত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন, ‘কাঁটাতার দিয়ে সীমান্ত সুরক্ষিত হয় না। সীমান্ত সুরক্ষিত রাখে বিএসএফ। কঠিন পরিস্থিতিতে দেশের সীমান্ত পাহারা দেন তাঁরা। হিঙ্গলগঞ্জে যেখানে সীমান্ত চৌকি উদ্বোধন হয়েছে সেখানে কুমিরের সঙ্গে লড়াই করতে হয় তাদের। দেশের সীমান্তরক্ষীদের সুরক্ষা ও তাদের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমস্ত পদক্ষেপ করবে নরেন্দ্র মোদীর সরকার।’