টাইমস বাংলা ডেস্ক, নদিয়া – চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহার আপ্তসহায়ক প্রবীর কয়ালকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুর – শাশুড়ি। তাদের দাবি, বিধায়ক তাপস সাহার গাড়ির তেল থেকে যাবতীয় খরচ চালাতেন প্রবীরই। এমনকী তৃণমূলের পার্টি ফান্ডে নিয়মিত মোটা টাকা দিতেন তিনি। যার ফলে নস্যাৎ হয়ে যাচ্ছে তাপস সাহার ‘প্রবীরের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন ছিল না’ দাবি। শুক্রবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়চক থেকে প্রবীর কয়াল ও তাঁর ২ সহযোগীকে গ্রেফতার করে দুর্নীতি দমন শাখা। চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। তেহট্টের বাসিন্দাদের দাবি, প্রবীরকে না জানিয়ে বিধায়কের কাছাকাছি যেতে পারতেন না কেউ। কিন্তু সেই দাবি অস্বীকার করেন বিধায়ক তাপস সাহা। উলটে তাঁর দাবি, প্রবীরকে তিনি চেনেন বটে, কিন্তু আর্থিক লেনদেন ছিল না। যদিও সম্পূর্ণ উলটো দাবি করেছেন প্রবীরের স্ত্রী পিয়ালি। তেহট্টের খাসপুরে শ্বশুরবাড়িতে ঘরজামাই থাকতেন প্রবীর। তবে সারা সপ্তাহ দেখা যেত না তাঁকে। সোমবার বেরিয়ে ফিরতেন শনিবার। পিয়ালিদেবী বলেন, ‘বাড়িতে অনেক মানুষ যাতায়াত করত। টাকা পয়সা লেনদেন হত। কিন্তু এসব ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলেই মারধর করত। আমি বলেছিলাম এসব ছেড়ে দেও। ও বলেছিল, কিচ্ছু হবে না। মাথার ওপর বড় হাত আছে।’ পিয়ালিদেবীর বাবা সাধনবাবুর দাবি, ‘এসব নিয়ে প্রশ্ন করলে আমাদেরও মারধর করত প্রবীর।’ এই বলে স্ত্রী শেফালির শরীরে কালসিঁটে দাগ দেখান তিনি। পেশায় টোটোচালক সাধনবাবুর বিস্ফোরক দাবি, ‘টাকা কি ও সব একা খেয়েছে? পার্টি ফান্ডে নিয়মিত মোটা টাকা দিত। তাপস সাহার ভোটের সময় প্রচুর খরচ করেছে। এছাড়া তাঁর ব্যক্তিগত খরচেরও অনেকটা চালাত প্রবীর।’