টাইমস বাংলা ডেস্ক, পুরুলিয়া – বিদ্যুৎ রয়েছে, তারপরে বন্ধ রাখা হচ্ছে ফ্যান। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডি পাথরডি ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা দক্ষিণবঙ্গবাসীর। তাপদাহে মৃত্যুর খবর আসছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে, অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এই পরিস্থিতিতেও হাসপাতালে তীব্র গরমের মধ্যেই ফ্যান বন্ধ থাকায় রোগীরা সমস্যায় পড়ছেন বলে অভিযোগ। যদিও হাসপাতালের এই সমস্যা দ্রুত সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক। জানা গিয়েছে, বাঘমুন্ডি পাথরডি ব্লক প্রথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে মহিলা ও পুরুষ বিভাগের কয়েকটি ফ্যান বেশ কয়েকদিন ধরেই বন্ধ রয়েছে। জয়দেব কালিন্দী নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, হাসপাতালে গত কয়েকদিন ধরে ভর্তি রয়েছেন তার স্ত্রী। কিন্তু তীব্র গরমে ফ্যান বন্ধ থাকায় সারাক্ষণ তাকে হাতপাখা দিয়ে হাওয়া করতে হচ্ছে। পাখা বন্ধ থাকায় সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়ছেন গর্ভবতী মা ও শিশুরা। আশেপাশের বহু গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা এই বাগমুন্ডি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র। হাসপাতলে পাখা বন্ধ ছাড়া আরও অনেক সমস্যা রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। হাসপাতালে ঠিকমতো ডাক্তার না থাকার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। পাখার সমস্যা নিয়ে মৌখিকভাবে স্থানীয় বিডিও, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ বিজেপি সাংসদের। বিজেপির বাঘমুন্ডি ব্লক কনভেনার জগদীশ কুমারও হাসপাতালে পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন। যদিও বিষয়টি নিয়ে পাথরডি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক রামকৃষ্ণ ঘোষ জানান, ২৪ ঘন্টা ধরে ফ্যান চলছে। তীব্র গরমে কয়েল পুড়ে যাওয়ার জন্য এখন ফ্যান বন্ধ রয়েছে। এর আগেও বেশ কয়েকবার ফ্যানের কয়েল পুড়ে গিয়েছিল। তখন সেগুলি মেরামত করা হয়েছিল। দ্রুতই ফ্যানগুলি মেরামত করা হবে। একই সঙ্গে প্রসূতি বিভাগকে দ্রুত বাতানুকূল করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।