রূপম রায়, টাইমস বাংলা ডেস্ক, নদিয়া – চাকরি দেওয়ার নাম করে দলের নেতার আত্মীয় এমনকী পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকেও টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠছে তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় শুক্রবার রাতেই তাপস সাহার অপ্তসহায়ক প্রবীর কয়ালসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতিদমন শাখা। আর তার পর প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক অভিযোগ। তাপসবাবুর খুড়তুতো বোন ঝর্না সাহার ছেলে শুভর অভিযোগ, ২০১৬ সালে পলাশিপাড়ার বিধায়ক থাকাকালীন চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁর কাছ থেকে ১২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নেন মামা তাপস সাহা। তার পর চাকরিও হয়নি, টাকাও ফেরত পাননি তিনি। সাত বছর ধরে চরম দারিদ্রে ভুগছেন তিনি। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে অসুস্থ মায়ের চিকিৎসা করাতে পারছেন না তিনি। একথা জানিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠিও দেন তিনি। শুভর মা ঝর্না সাহা স্থানীয় পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্য। একই অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি কল্লোল খাঁয়ের ভাই হিল্লোল খাঁ এর জামাই সৌম্য নন্দী। তাঁর দাবি, জ্যেঠু কল্লোল খাঁয়ের সঙ্গে মাঝেমাঝে কলকাতার এমএলএ হস্টেলে আসতেন তিনি। তখন তাঁর সঙ্গে তাপসবাবুর সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। কথায় কথায় চাকরির ব্যাপারে তদ্বির করেন তিনি। এব্যাপারে প্রবীরের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন তাপসবাবু। এর পর প্রবীর তাঁকে জানান, প্রাথমিকে চাকরির জন্য দিতে হবে ৫ লক্ষ টাকা। সৌম্য জানান এত টাকা তাঁর পক্ষে একবারে দেওয়া সম্ভব নয়। তখন প্রবীর তাঁকে কিস্তিতে টাকা দেওয়ার পরামর্শ দেন। সেই মতো এক ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৫০,০০০ টাকা পাঠান তিনি। এখন সৌম্য বলছেন, দলের ছেলের সঙ্গে উনি এরকম প্রতারণা করবেন ভাবিনি। এই নিয়ে কল্লোলবাবু বলেন, সৌম্য যে তাপসকে টাকা দিয়েছে সেকথা আমার জানা ছিল না। এখন অনেকে অনেক অভিযোগ করছে। তদন্ত হোক, বোঝা যাবে।