টাইমস বাংলার ডেস্ক, উত্তরবঙ্গ – দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে চলছে তাপপ্রবাহ। অসুস্থ হয়ে পড়ছে একাধিক স্কুলের পড়ুয়ারা। এই পরিস্থিতিতে আগামী ২ মে থেকে রাজ্যে গরমের ছুটি ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহ চললেও উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া আরামদায়ক। এনিয়ে উত্তরবঙ্গে স্কুল খোলা রাখার দাবিতে সরব হতে দেখা যায় শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে। শুক্রবার উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে শঙ্কর ঘোষের দাবিকেই সমর্থন জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, ‘স্কুলের মিড ডে মিলের টাকা লুঠ করার জন্যই স্কুলে ছুটি দেওয়া হয়েছে।’ আজ শুক্রবার ময়নাগুড়িতে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে উত্তরবঙ্গে পৌঁছন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দু বলেন, ‘এই সরকার চায় না স্কুলগুলি খোলা থাক। কারণ স্কুল যদি খোলা থাকে তাহলে সরকারকে ইলেকট্রিক বিল দিতে হবে। স্কুল খোলা থাকলে মিড ডে মিলের চাল মারা যাবে না, তৃণমূলের কাটমানিখোর নেতারা মিড ডে মিলের চাল টাকা মারতে পারবেন না। শিক্ষক নিয়োগ নিয়েও চাপ আসবে না। সরকারি স্কুলগুলি বেসরকারি স্কুলের থেকে এআরও পিছিয়ে যাবে। তখন বেসরকারি স্কুলে ভর্তির চাপ বাড়বে। এই সমস্ত গোপন এজেন্ডা উপরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা না করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে ছাত্র-ছাত্রী স্কুল সকলকেই তিনি বিপাকে ফেলেছেন। তৃণমূলের সকলেই ল্যাম্পপোস্ট মন্ত্রী।’ দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহ চললেও কোচবিহার,জলপাইগুড়ি প্রভৃতি জেলাতে এখন আবহাওয়া বেশ আরামদায়ক। সেখানে গরমের দাপট সে রকম নেই। এই অবস্থায় স্কুল খোলা থাকলে সুবিধা হতো বলে মনে করছেন অভিভাবকদের একাংশ। তাদের মতে, করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বন্ধ ছিল এখন আবার স্কুল বন্ধ থাকলে সমস্যায় পড়বে পড়ুয়ারা। তাদের বক্তব্য, উত্তরবঙ্গে গরম পড়ে আরও একমাস পরে। ফলে এখনই স্কুলে গরমের ছুটি দেওয়া যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে করছেন অভিভাবকদের একাংশ।