বিশ্বজিৎ রায়, হাওড়া, টাইমস বাংলা ডেস্ক – পঞ্চায়েতের উন্নয়নের কাজে বাধা দিচ্ছেন খোদ বিধায়কের ঘনিষ্ঠ লোকজন। এর পাশাপাশি পঞ্চায়েতে প্রধান এবং উপপ্রধানকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। ডোমজুড়ের সলপ দু নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ডোমজুড় থানায় তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও তার বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ।
ডোমজুড়ের সলপ ২নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩ সদস্যের সকলেই তৃণমূল কংগ্রেসের। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন হয় বিরোধী শূন্য। এরপর স্থানীয় এলাকা্য় কাজকর্ম স্বাভাবিক নিয়মেই চলছিল। কিন্তু পরিস্থিতি দ্রুত বদলে যায় গত বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর। বিজেপি প্রার্থী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে ডোমজুড়ের নতুন বিধায়ক হন তৃণমূল কংগ্রেসের কল্যান ঘোষ। ওই পঞ্চায়েতের প্রধান এবং অন্যান্য সদস্যদের অভিযোগ,তৃণমূল বিধায়ক কল্যান ঘোষের ঘনিষ্ঠ লোকজন গত মাস পাঁচেক ধরে নানা অজুহাতে পঞ্চায়েতে কাজে বাধা সৃষ্টি করছেন। তারা পঞ্চায়েতের অনুমতি এবং বাজেট ছাড়াই বিভিন্ন এলাকায় নিত্যনতুন কাজের দাবি জানাচ্ছেন। অফিসে হুজ্জুতি চালানোর পাশাপাশি ওয়ার্ক অর্ডার এবং পঞ্চায়েতের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফাইল তারা জোর জবরদস্তি দেখতে চাইছেন। পঞ্চায়েতের প্রধানের অভিযোগ পঞ্চায়েতের কাজকর্ম নিয়ে তাদের বোঝানোর চেষ্টা করা হলেও তাদের নানাভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। তাদের পরিবারের লোকেদের গালিগালাজ এবং হুমকি দেওয়া হচ্ছে। যারা এসব করছেন তারা সবাই সদ্য তৃণমূলে আসা লোকজন এবং বিধায়কের কাছের লোক। এর ফলে স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। বাধ্য হয়ে পঞ্চায়েতে ১৩ জন সদস্য নিজেদের মধ্যে মিটিং করে একজোট হয়েছেন। পঞ্চায়েতের কাজে বাধা সৃষ্টির অভিযোগ নিয়ে তারা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর এবং দলের বিভিন্ন পদাধিকারীদের সরাসরি চিঠি লিখছেন। এ ব্যাপারে তারা ডোমজুড় থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেন।
বিধায়ক কল্যান ঘোষ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, কারা ওই পঞ্চায়েতের কাজে বাধা সৃষ্টি করছেন তা তিনি জানেন না। তাকে কেউ এ ব্যাপারে জানাননি। তিনি দাবি করেন ওই পঞ্চায়েতের প্রধানসহ সবাই তার লোক।