টাইমস বাংলা ডেস্ক, উত্তর ২৪ পরগণা – পারিবারিক অশান্তির জেরে গৃহবধূর উপর পাশবিক অত্যাচার। জোর করে গৃহবধূর মুখে ফিনাইল ঢেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে পানিহাটিতে। অভিযোগের আঙুল ননদ ও শ্বশুরবাড়ির অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতা রত্না দত্ত আপাতত কামারহাটির সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এই ঘটনায় রত্নাদেবীর বাপের বাড়ির তরফে পুলিশে লিখিত অভিযোগ জানানো গয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, পানিহাটির নিউ কলোনিতে বাপ্পা দত্তের সঙ্গে ১২ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল রত্নার। সেই সময় থেকেই রত্নাদেবীর উপর অত্যাচার চালিয়ে এসেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এই আবহে করোনাকালে দেশে লকডাউন জারি হলে কর্মসংস্থানহীন হয়ে পড়েন রত্নাদেবীর স্বামী। এরপরই আরও বাড়ে অত্যাচার। এই আবহে গত মঙ্গলবার চরম অশান্তি চলাকালীন জোর করে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা রত্নাদেবীর মুখে ফিনাইল ঢেলে দেয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় রত্নাদেবীর অভিযোগ, তাঁর ননদ ও ননদের মেয়ে তাঁকে ধরে জোর করে তাঁর মুখে ফিনাইল ঢেলে দেয়। ঘটনার সময় রত্নাদেবীর শ্বশুর, শাশুড়ি পাশে দাড়িয়ে থাকলেও কিছু করেনি বলে অভিযোগ। রত্নাদেবীর অভিযোগ, ‘মঙ্গলবার ননদ এবং তার মেয়ে বাড়িতে আসে। স্বামীর হাতে কাজ নেই বলে ননদকে একটি চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য বলেছিলাম। এরপরই ননদ এবং তার মেয়ে আমাকে মারধর শুরু করে। এরপর জোর করে আমার মুখে ফিনাইল ঢেলে দেয় তারা। শ্বশুর ও শাশুড়ি পাশে দাঁড়িয়ে থাকলেও তারা ননদকে আটকাতে কিছুই করেনি। আমি চিৎকার করতেই স্বামী ছাদে থেকে ছুটে আসে।’ এই ঘটনায় রত্নাদেবীর দিদি বলেন, ‘বিয়ের পর থেকে বোনের উপর অত্যাচার করত শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। ওরা আমার বোনকে মেরে ফেলতে চাইছে। আমরা সুবিচার চাই।’