সঞ্জয় কাপরি, পূর্ব মেদিনীপুর, টাইমস বাংলা – মৃত্যুর মুখ থেকে বধূকে ফিরিয়ে আনলেন চিকিৎসকরা। তমলুক জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকরা কার্যত অসাধ্য সাধন করলেন। স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে খবর, মামনি ঘোড়ই নামে ২৬ বছর বয়সী ওই বধূর গলার ৭০ ভাগই কেটে গিয়েছিল ধারালো অস্ত্রের কোপে। মূলত জমিজমা সংক্রান্ত বিবাদের জেরে মামনি নিজেই গলা কেটে ফেলেছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। একটি নালা থেকে তাঁকে উদ্ধার করে তমলুক হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন পরিবারের লোকজন। তবে রোগিণীকে অন্যত্র রেফার না করে নিজেরাই অপারেশন করবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। সেই মতো শল্য চিকিৎসক শিবশঙ্কর দে রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ অপারেশন শুরু করেন। টানা সাড়ে তিনঘণ্টা ধরে অপারেশন চলে। এরপর ওটি থেকে রোগীকে বের করা হয়। কার্যত সফল অপারেশন। আপাতত নল দিয়ে তাঁকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করতে হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সিনিয়র সার্জেন শিবশঙ্কর দে, অ্যানাস্থেটিস্ট অশোক পড়িয়া ও নাক কান গলার বিশেষজ্ঞ সৌমিক সাহাকে নিয়ে তৈরি টিম অপারেশনে নেমেছিল। এদিকে মামনির স্বামী ভিনরাজ্যে কাজ করেন। বাবা গরিব দিনমজুর। তাঁদের পক্ষে বেসরকারি হাসপাতালের ব্যয়বহুল চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়। কিন্তু সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে শেষ পর্যন্ত হাসি ফুটেছে ওই গরিব পরিবারের মুখে।