দেবাশীষ পাল,মালদা, টাইমস বাংলা ডেস্ক – মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরে চাঁচলে মিলল কার্তুজ তৈরির কারখানার হদিস। উদ্ধার ৩৮ টি কার্তুজ ও কার্তুজ তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম। সন্তোষ কর্মকার নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে চাঁচল থানার পুলিশ। তার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে এই বিপুল পরিমান কার্তুজ। ঘটনায় আর কারা যুক্ত রয়েছে খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে,চাঁচল থানার দেবীগঞ্জের বাসিন্দা সন্তোষ কর্মকার বেশ কয়েকদিন ধরে ওই এলাকায় সন্দেহ ভাজন ভাবে ছিল। গোপন সুত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে কার্তুজ পাইপগান সহ তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে ৩৮ কার্তুর্জ ,পাইপগান ও কার্তুজ তৈরীর একাধিক ষরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবে মনে করে হচ্ছে সে কার্তুর্জ গুলি সেখানে তৈরী করে বিক্রি করতো বিভিন্ন জায়গায়। তবে ঘটনার পর বাড়ির সামনে পুলিশ পিকেট রাখা হয়েছে। আর এই নিরে এলাকায় অতঙ্ক ছড়িয়েছে। আজ দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান চাচোল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক শুভেন্দু মন্ডল, চাঁচল থানার আইসি সুকুমার ঘোষ। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি ধৃত সন্তোষ কর্মকারের ছেলের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা। বিপুল পরিমাণ কার্তুজ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রাম সহ শহর জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়।বাসিন্দারা জানান,এর আগে এই ধরনের ঘটনা এখানে দেখা যায় নি। স্বাভাবিক ভাবে এলাকায় একটা আতঙ্ক রয়েছে। আমরা কখনো বুঝতে পারে নি সে এখানে কার্তুজের কারবার চালাচ্ছে। চাঁচল সদর মহুকুমা পুলিশ আধিকারিক শুভেন্দু মন্ডল জানান,গোপন সুত্রে খবর পেয়ে পুলিশ সন্তোষ কর্মকারকে গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে লোহা কিছু জিনিস পাওয়া যায়। যা প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে পিস্তলের কার্তুজ। পাশাপাশি কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে। ঘটনার, তদন্ত শুরু হয়েছে।রামপুরহাটের বগটুই আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে বেশ ভালো প্রভাব ফেলতে পারে তা বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসাবে তিনি প্রতিটি জেলার পুলিশকে বার্তা দিয়েছেন, হয় সাতদিনের মধ্যে সমস্ত বেআইনি অস্ত্র এবং বোমা বাজেয়াপ্ত করতে হবে, নইলে ক্লোজ কিংবা সাসপেন্ডের জন্য তৈরি থাকতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই কড়া মনোভাব বুঝে সতর্ক পুলিশও। প্রতিদিনই রাজ্যের প্রতিটি প্রান্ত থেকে বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা ঘটছে। পুলিশের জালে দুষ্কৃতীরাও ধরা পড়ছে। কিন্তু এবার আর দু’চারটি আগ্নেয়াস্ত্র কিংবা বোমা নয়, খোদ কার্তুজ তৈরির কারখানা উদ্ধার হল চাঁচলের একটি গ্রামে। ধৃত কে সাতদিনের পুলিশি হেপাজতের আবেদন জানিয়ে বুধবার তাকে চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে। গোটা ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে পুলিশি তদন্ত।