প্রদীপ দলুই, বীরভূম, টাইমস বাংলা ডেস্ক- রামপুরহাট গণহত্যার অন্যতম সাক্ষী নাজমা বিবির মৃত্যু হল। সোমবার রামপুরহাট হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। এর ফলে ওই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৯। তবে স্থানীয়দের দাবি, নাজমা বিবিকে নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেও কেন তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হল না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
গত ২১ মার্চ রাতে বগটুই গ্রামে সোনা শেখের বাড়িতে যখন হামলা হয় তখন বাড়ির ভিতরেই ছিলেন নাজমা বিবি। দুষ্কৃতীরা বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিলে গুরুতর দগ্ধ হন তিনি। পরদিন দমকল কর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন ছিলেন নাজমা বিবি। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন তাঁর দেহের ৬৫ শতাংশই পুড়ে গিয়েছে। এর পর দেহের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে সংক্রমণ। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে রক্তে। ক্ষতস্থান থেকে প্রচুর তরল বেরিয়ে যেতে থাকায় রক্তচাপ ওঠা নামা করতে থাকে তাঁর। রবিবার তাঁকে ভেন্টিলেশন দিতে হয়। সোমবার দুপুরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় নাজমা বিবির।
এই মৃত্যুতে সরকারি তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। রামপুরহাট গণহত্যায় দগ্ধদের কলকাতার SSKM হাসপাতালে ভর্তি করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরও কেন নাজমা বিবিকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হল না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি এই গণহত্যার অন্যতম সাক্ষীকে পরিকল্পনামাফিক মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে?