প্রদীপ দলুই, বীরভূম, টাইমস বাংলা ডেস্ক – শুক্রবারই রামপুরহাট গণহত্যায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তার পরই তৃণমূলের গলায় শোনা গিয়েছে অন্য সুর। তবে কি চাপে পড়েছে শাসকদল? দলের অন্যতম ‘সম্পদ’ অনুব্রত মণ্ডলের কথায় উঠছে তেমনই প্রশ্ন? এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নিজের দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষকেই চিনতে পারলেন না বীরভূমের বেতাজ বাদশা। রামপুরহাট গণহত্যায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশের পর অনুব্রতর ওপর চাপ বেড়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। এমনিতেই গোরু ও কয়লাপাচারকাণ্ডে গ্রেফতারির খাঁড়া ঝুলছে তাঁর ওপরে। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো হাজির হয়েছে রামপুরহাট গণহত্যা কাণ্ড। ঘটনায় অনুব্রতর যোগ আছে বলে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনি বলেন, বগটুই গ্রামে সোনা শেখের বাড়িতে আগ্নিসংযোগের সময় ব্লক সভাপতি আনারুলের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল অনুব্রতর। অনুব্রত ফোনে বলেছিলেন, ‘দুটো বাড়ি জ্বলছে, জ্বলতে দে।’ এদিন এই প্রসঙ্গটি আদালতে তোলেন মামলাকারীদের আইনজীবীরাও। তার পরই কুণাল ঘোষকে চিনতে পারলেন না অনুব্রত। এদিন এক সাংবাদিক বৈঠকে কুণাল ঘোষকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীকে জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল পরামর্শ দিয়েছেন, সূঁচপুরের মতো করে সাজানো হোক বগটুই মামলা। কী বলবেন? কুণাল বলেন, ‘উনি বড় নেতা, বেশি বোঝেন। ওনার সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।’ কুণালের বক্তব্য অনুব্রতর সামনে তুলে ধরলে অনুব্রতর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া, ‘কোন কুণাল ঘোষ?’ সাংবাদিকরা তাঁকে বলেন, তৃণমূলের কুণাল ঘোষ। এর পর ফের একবার তিনি একই প্রশ্ন করেন। কুণালের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে অনুব্রত বলেন, ‘কুণাল ঘোষ কী বলেছে, সে ব্যাপারে আমি বলতে রাজি নই।’