প্রদীপ দলুই, বীরভূম, টাইমস বাংলা ডেস্ক- রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের রাতের আঁধারে আগুন লাগিয়ে ৮ জনকে খুনের ঘটনায় ‘নাটের গুরু’ আনারুল হোসেন। বৃহস্পতিবার বগটুই গ্রামে গিয়ে নিহতদের পরিবারের পাশে দাড়িয়ে ঠিক এই কথাই বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবিলম্বে আনারুলকে গ্রেপ্তারির নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তাঁর নির্দেশ পেয়ে ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই জেলা থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে আনারুলকে। তারাপীঠ থানায় তাঁকে পেশ করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়ে এদিন দুপুরেই রামপুরহাটে রামরামপুরে আনারুল হোসেনের প্রাসাদোপম বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। নেতৃত্বে বীরভূমের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক সরকার। তাঁর বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি চালান পুলিশকর্মীরা। বাড়ির মহিলারা জানান, আনারুল বাড়িতে নেই। তবে পুলিশের অনুমান, তিনি বাড়ির মধ্যেই গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন। তা না থাকলেও, যেখান থেকেই হোক, তাঁর হাতকড়া পরিয়ে জেলে ঢোকাতেই হবে। এমনই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই তাঁর গ্রেপ্তারিতে অতি সক্রিয় পুলিশ। তাঁর বাড়িটি পুলিশি ঘেরাটোপে ঘিরে ফেলা হয়। বাড়ি থেকে না পেলেও তারাপীঠ থেকে আনারুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রামপুরহাট ১ নং ব্লকের তৃণমূল ব্লক সভাপতি আনারুল। সোমবার রাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কোনওক্রমে বেঁচে যাওয়া বাসিন্দা মিহিলাল শেখ অভিযোগ তুলেছেন, আনারুলের নেতৃত্বেই সেই রাতে গ্রামে হামলা চলেছিল। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সামনে কান্নাভেজা গলায় সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ফের এই নাম উল্লেখ করেছিলেন মিহিলাল। তাতেই কার্যত সিলমোহর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, ”আনারুল গ্রেপ্তার হবে।” তারপরই তাঁর বদলে রামপুরহাট ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ সিরাজ জিম্মিকে ব্লক সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আনারুল সংবাদমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে জানান, তিনি ওইদিন হাসপাতালে ছিলেন। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জানাক, তিনি কোথায় ছিলেন। এ নিয়ে তিনি জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলতে চান। এদিকে, আনারুলের বাড়ি ঘিরে তাঁকে গ্রেপ্তারির তোড়জোড় করতেই তাঁর অনুগামীরা বাড়ির সামনে চলে আসেন। তাঁদের দাবি, আনারুলকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হচ্ছে। একা তিনি নন, গ্রেপ্তার করতে হলে তাঁদেরও করতে হবে।