প্রদীপ দলুই, বীরভূম, টাইমস বাংলা ডেস্ক – রামপুরহাট গণহত্যা সরেজমিনে দেখতে বগটুই গ্রামে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী সোজা চলে যান নিহতদের পরিজনদের সঙ্গে কথা বলতে। সামনে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনহারা মানুষজন। অসুস্থও হয়ে পড়েন এক নিহতের আত্মীয়। তাঁর হাতে জলের বোতল তুলে দেন মমতা। দীর্ঘক্ষণ সকলের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। জ্ঞান হারান এক প্রৌঢ়। ঠিক অভিভাবকের মতো প্রৌঢ়ের মাথায় জল দিতে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রীকে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে। প্রথমে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি তৈরির জন্য ১ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করা হলেও পরে তা বাড়িয়ে ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়। নিহতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করেন তিনি। এছাড়া সামান্য জখমদের ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। আজই নিহতদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ক্ষতিপূরণের চেক। রামপুরহাটে নেমে সড়কপথে অনুব্রত মণ্ডলকে সঙ্গে নিয়ে বগটুই গ্রামে যান মমতা। ‘দিদি’কে দেখেই কান্নায় ভেঙে পড়েন মিহিলাল–সহ গ্রামবাসীরা। মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, ঠিক কী হয়েছিল সেই রাতে? উত্তরে বিভীষিকাময় রাতের বিবরণ দুলে ধরেন সকলে। মুথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই ঘটনায় আমার হৃদয় ভেঙেছে।’ এদিন বেশ কযেকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন নিজে হাতে মাথায় জল দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার স্পর্শে অনেকটা শান্ত হয়ে যায় বগটুই। ওই গ্রামে দাঁড়িয়েই গোটা ঘটনায় তদন্তকারীদের কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। পুলিশ অফিসারদের মমতা বলেন, ‘আমি কিছু শুনতে চাই না। কড়া ব্যবস্থা নিন। পুরো ঘটনার পিছনে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে। তবে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ গেলে এই ঘটনা এড়ানো সম্ভবপর হতো।’ এরপরই মুখ্যমন্ত্রী গাড়িতে চেপে চলে যান রামপুরহাট হাসপাতালে। সেখানে সুপারের সঙ্গে কথা বলেন। কথা হয় আহতদের সঙ্গেও।