টাইমস বাংলা ডেস্ক, কলকাতা – রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে গিয়ে মৃত ও জখমদের আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কাছেই দাঁড়িয়ে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। অত্যন্ত কড়াভাবে কেস সাজানোর কথা বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সামনেই দাঁড়িয়ে অনুব্রত মণ্ডল। নেত্রীর নির্দেশ শুনে ঘাড় নাড়লেন তিনি। বললেন সূচপুরের ঘটনার প্রসঙ্গও। অনেকেই বলছেন, ভাবখানা এমন পুলিশ নয়, কেসটা সাজানোর গুরুদায়িত্ব মনে হয় পড়ল তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের উপর। অন্যদিকে আনারুলকে যখন গ্রেফতার করতে গেল পুলিশ তখনও স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের একটাই দাবি, অনুব্রত মণ্ডলই ফাঁসিয়েছে আনারুলকে। সব মিলিয়ে দিনভর প্রতিটি ঘটনা পরম্পরাতে সবখানেতেই ভীষণ রকম উপস্থিতি অনুব্রত মণ্ডলের। বীরভূমে নাকি একটা চালু কথা আছে কেষ্ট মণ্ডলের নির্দেশ ছাড়া বীরভূমে একটা পাতাও নড়ে না। আর সেই অনুব্রত মণ্ডলকে নিশানা করে তির ছুঁড়লেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘উনি আগে অনুব্রতদের কন্ট্রোল করতেন। এখন অনুব্রতরাই ওনাকে কন্ট্রোল করেন। আগে উনি গুণ্ডা কন্ট্রোল করতেন। এখন গুণ্ডারাই তাঁকে কন্ট্রোল করেন। কারণ হাজার হাজার তোলাবাজ। দেউচা পাচামি দেখিয়ে, আদিবাসীদের তাড়িয়ে আদানিদের থেকে যে টাকা আনবেন তার জন্য় এখন থেকে জিভে জল পড়ছে। কোনও শিল্প হবে না। এটাকে বলে কেষ্টা ফর্মুলা। ওটা খাস লোক। মামার বাড়ি। মামার বাড়ি ভারি মজা, কিল চড় নাই।’