প্রদীপ দলুই, বীরভূম, টাইমস বাংলা ডেস্ক – বগটুই গ্রামে ঘটনাস্থলের কাছেই পুলিশের ব্যারিকেড। সেই গার্ডরেলের সামনেই দাঁড়ালেন শুভেন্দু অধিকারী। চারপাশে মিডিয়ার ভিড়। এই বগটুই গ্রামেই হয়েছে নৃশংস হত্যাকাণ্ড। সেখানে দাঁড়িয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, উপপ্রধান খুন হওয়ার পরে পুলিশ দেড়ঘণ্টা সময় পেয়েছিল। দেড়ঘণ্টা পরে প্রতিশোধমূলক এই ঘটনা হয়েছে। আজ যে তৎপরতা পুলিশ দেখাচ্ছে সেটা সেদিন দেখালে এই ঘটনা হত না। তিনি বলেন, এই ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে আমাদের হোয়াটস অ্যাপ কলে কথা হয়েছে। তাঁর সব প্রটেকশন আমরা দেব। অন্যদিকে তিনি বলেন, প্রমাণ লোপাটের জন্য কাল মুখ্যমন্ত্রী যাবেন রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে। শুভেন্দু বলেন, এটা লজ্জার। অনুব্রত মণ্ডলের সর্ট সার্কিট তত্ত্ব সম্পর্কে শুভেন্দুর পালটা দাবি, আমি ওর কথার উত্তর দেব না। বীরভূম জেলার পুলিশকে ক্রীতদাসে পরিণত করার নায়ক ওই লোকটা। মুখ্যমন্ত্রীর সফর প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আসছেন আকাশপথে। তিনি এখন আকাশরানি। মুখ্য়মন্ত্রী আসছেন এভিডেন্স লোকানোর জন্য। আমরা দাবি করছি এনআইএ তদন্তের জন্য। আমি এনিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি লিখেছি। মার্ডারের ব্যাপারটা সিবিআইকে দিতে হবে। এরা ফরেনসিক, পোস্টমর্টেম রিপোর্টও পাল্টে দেয়। শুভেন্দুর দাবি,পুলিশমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে। আবার বিধানসভায় হবে, কলকাতায় মিছিল হবে। আমরা আসব বলে হাজার হাজার পাথরের ট্রাক ছেড়ে দিল। আমাদের দুঘণ্টা ঘুরে আসতে হল। এক সপ্তাহে ২৬জন মারা গিয়েছে। এত লজ্জাহীন। বলছে ল্যাংচা খেতে খেতে ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে আসছে। ওনার মুখ ব্লিডিং, ফিনাইল দিয়ে ধুয়ে দেওয়া উচিত। উই ওয়ান্ট জাস্টিস। তিনি বলেন, নারী কমিশন, শিশু কমিশনকেও জানিয়েছি। এখানকার প্রমাণ লোপাট করবেন না।