টাইমস বাংলা ডেস্ক, বীরভূম – সোমবার রাতে বীভৎস সেই ঘটনার কথা চোখের সামনে ভাসছে। রামপুরহাটের বগটুইয়ে সেই নৃশংসতার কথা উঠে এল এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়। উঠে এল অনেক বিস্ফোরক তথ্য। রামপুরহাটের ঘটনায় মৃতের পরিবারের এক সদস্য শেখ লালের মুখে উঠে এল ঘটনার দিন দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবলীলার কথা। কীভাবে একের পর এক বাড়িতে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তার ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘উপপ্রধান ভাদু শেখের খুনের পর রাত সাড়ে ৯টা থেকে এলাকায় একের পর এক বোমাবাজি শুরু হয়। ফটিক, আমার চাচাতো ভাই। ওর বাড়িতে প্রথমে বোমা পড়ে। ফটিকের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তারপর গ্রিল কেটে ওর বউকে বের করে কোপানো হয়। যখন মরে গেল, তখন পেট্রোল দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হল। এরপর দুষ্কৃতীরা দ্বিতীয় বাড়িতে অ্যাটাক করল। সেটা সোনার বাড়ি। ওই বাড়িতে ৬ জন মেয়েছেলে ও একজন পুরুষ লুকিয়ে ছিল। তাঁদের গ্রিল কেটে বের করে এনে একটি ঘরে ঢুকিয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। সারারাত ধরে জ্বলল। পুলিশ কোনও খোঁজই নিল না।’ রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের ওই বীভৎসতার পর গ্রাম ছেড়ে অনেক পরিবারই এখন পালিয়ে গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, কেউ আর রাতে গ্রামে থাকতে চাইছেন না। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। পুলিশের ওপর তাঁদের আর কোনও ভরসা নেই।