টাইমস বাংলা ডেস্ক, দক্ষিণ ২৪ পরগনা – কাকদ্বীপের রেললাইনে থেকে উদ্ধার যুবতীর দেহ । ঘটনাকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কাকদ্বীপ এলাকায় । জানা যাচ্ছে, মৃতার নাম দেবিকা মাইতি । ওই যুবতী দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কাকদ্বীপ মহকুমার নামখানা এলাকার বাসিন্দা । বৃহস্পতিবার সকালে ওই যুবতীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় কাকদ্বীপ রেল স্টেশন থেকে । অভিযোগ ওই যুবতীকে গণধর্ষণ করে চলন্ত ট্রেনের সামনে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছে। যদিও এই অভিযোগের সত্যতা এখনও স্বীকার করেনি পুলিশ। বরঞ্চ তাঁদের দাবি, ওই যুবতীকে কেউ হয়তো ট্রেন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে বা খুনের পর তাঁর রক্তাক্ত দেহ রেললাইনে ফেলে দিয়ে গিয়েছে। তাই পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাতে না আসা অবধি তাঁরা এই বিষয়ে সুস্পষ্ট ভাবে কিছু জানাতে চাইছেন না। ওই যুবতীর মোবাইল ফোনের সন্ধান শুরু করেছে পুলিশ। তাঁদের অনুমান, ওই যুবতীর মোবাইলেই তাঁর মৃত্যুর রহস্যের সূত্র মিলতে পারে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, নামখানার বাসিন্দা ওই যুবতী কাকদ্বীপের একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে কাজ করতেন। রোজকার মতো বুধবার রাতেও কাজ সেরে বাড়ি ফেরার জন্য বার হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু রাত গভীর হলেও বাড়ি না ফেরায় তাঁর পরিবার উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। যুবতীর মোবাইল ফোনও বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করে উঠতে পারছিলেন না। বৃহস্পতিবার সকালে পূর্ব রেলের শিয়ালদা ডিভিসনের লক্ষ্মীকান্তপুর-নামখানা শাখার উকিলের হাট স্টেশনের কাছে ফাঁকা মাঠের মধ্যে রেল লাইনের ওপরে ওই যুবতীর ছিন্নভিন্ন দেহের সন্ধান মেলে। যদিও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রেল লাইনের মধ্যে থেকে নয়, রেল লাইনের পাশ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই যুবতীর দেহ মিলেছে। কিন্তু ঠিক কী কারনে তাঁর মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে সুনিশ্চিত করে কেউ কিছু বলতে পারেনি। তবে ওই যুবতীর পরিবারের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে যে, গণধর্ষণের পরে তাঁকে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পুলিস দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রেল পুলিস। প্রাথমিকভাবে পুলিসের অনুমান, ওই যুবতীকে খুন করা হয়েছে। তবে ধর্ষণের কোনও ঘটনা ঘটেনি বলেই জানাচ্ছে পুলিস।