টাইমস বাংলা ডেস্ক – বৃহস্পতিবার হিজাব ইস্যুতে একটি অন্তর্বর্তী রায় দেয় কর্ণাটক হাই কোর্ট। আদালত জানিয়ে দেয়, যতদিন না হিজাব সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে, ততদিন হিজাব-সহ কোনও ধরনের ধর্মীয় পোশাক পরা যাবে না স্কুল ও কলেজে। আদালত জানায়, “ফের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হোক। আমরা চাই রাজ্যে শান্তি ফিরুক। বিষয়টির যতদিন না নিষ্পত্তি হচ্ছে, ততদিন যেন কোনওরকম অশান্তির ঘটনা না ঘটে। কেউ যেন ধর্মীয় উসকানি না দেয়।” কর্ণাটক হাই কোর্টের এই রায়কে ‘অদ্ভুত’ বলে দাবি করে এর বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে এসএলপি বা স্পেশ্যাল লিভ পিটিশন দাখিল করেছিলেন অ্যাডভোকেট দেবদত্ত কামাত। কিন্তু সেটা রায়কেই খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত।
কর্ণাটকের হিজাব ইস্যুতে এখনই হস্তক্ষেপ করতে চাইল না সুপ্রিম কোর্ট। কর্ণাটক হাই কোর্টের অন্তর্বর্তী রায়ের বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে একটি স্পেশ্যাল লিভ পিটিশন দায়ের করেছেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট দেবদত্ত কামাত। কিন্তু মামলাকারীর করা দ্রুত শুনানির আরজি খারিজ করে দিল আদালত। তবে কর্ণাটক হাই কোর্টকে দ্রুত এই মামলার রায় দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।মামলাকারীর দাবি , কর্ণাটক হাই কোর্টের অন্তর্বর্তী রায় শুধু মুসলিম ছাত্রীদের প্রভাবিত করবে। এবং এই রায়ের সুদূরপ্রসারী ফল পড়তে পারে। তাই সুপ্রিম কোর্টের এ বিষয়ে দ্রুত হস্তক্ষেপ করা উচিৎ। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সেই আরজি খারিজ করে দিল। ‘এই বিষয়টিকে ন্যাশনাল ইস্যু করবেন না’, মামলাকারীকে অনুরোধ করলেন প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা ।