টাইমস বাংলা ডেস্ক – রাতের বেলা বিছানায় শুলেই শুরু হয়ে যায় নাকের গর্জন । যার জেরে পাশে শুয়ে থাকা মানুষটি কিছুতেই ঘুমোতে পারেননা । মাঝে মাঝে তো নাকের গর্জন এমন আকার ধারণ করে যে তা শোনা যায় পাশের ঘর থেকেও । যদিও অনেকেই এই ঘটনাকে স্বাভাবিক বলেই কাটিয়ে দেন । সারাদিনের পরিশ্রমের পর রাতে বিছানায় শুয়ে চোখ বন্ধ করলেই শুরু হয়ে যায় নাকের গর্জন । এই অজুহাতেই কাটিয়ে দেন অনেকেই । যদিও বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন এমনটা কিন্তু নাও হতে পারে । নাক ডাকা ইঙ্গিত হতে পারে বড়সড় কোনও শরীর খারাপের ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডাক ডাকার মূল
কারণ তিনটি। জেনেটিক, এনভায়রনমেন্টাল এবং অ্যানাটমিক্যাল। অনেকে পারিবারিকভাবে নাক ডাকেন। কারণ জিন। কারও ক্ষেত্রে দায়ী অ্যানাটমিক্যাল স্ট্রাকচার। যেমন কারও গলার কাছে ফ্যাট ডিপোজিশন বেশি। ফলে অক্সিজেন প্রবেশের পথ সংকীর্ণ হয়ে যায়। যত বেশি সংকীর্ণ, ‘কোল্যাপ্স’ করার প্রবণতা তত বেশি। ‘এনভায়রনমেন্টাল’ কারণ হল ধূমপান, মদ্যপান। অনেকে নর্ম্যালি নাক ডাকেন না, কিন্তু মদ্যপান করলে ডাকেন। অত্যধিক ক্লান্তিও কারণ। শীতে, বর্ষায় ডাকা বাড়ে।
তবে নাক ডাকা রয়েছে অনেক রকম ধরন , বুঝবেন কী করে, কোন নাকডাকাটা বিপজ্জনক? যদি দেখেন, কেউ এমন জোরে নাক ডাকছেন যে পাশের জন ঘুমোতেই পারছেন না বা শব্দ ঘরের বাইরে থেকেও শোনা যাচ্ছে বা যে ঘুমের মধ্যে রোগীর নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে-তখনই সতর্ক হোন। পলিসমনোগ্রাফিক টেস্ট করান ডাক্তারের পরামর্শমতো। চারটি স্তরে হয়। লেভেল ওয়ান সবচেয়ে অ্যাডভান্সড। ল্যাবরেটরিতে এসে করতে হয়। এতে রোগের কারণ অনেকাংশেই ধরা যায়। এছাড়াও ‘পোর্টেবল ফরম্যাটে’, রোগীর বাড়িতে একটি ছোট যন্ত্র নিয়ে গিয়ে, রাতে রোগীকে লাগিয়ে দেওয়া হয়। কে, কোন পরীক্ষা করবেন, চিকিৎসকই জানাবেন।