টাইমস বাংলা ডেস্ক- ঝাড়খণ্ড, ধানবাদের সিন্দ্রী কলেজের বাংলা ও আসামের বিজনী কলেজের বাংলা বিভাগের যৌথ উদ্যোগে ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি, ২০২২ আয়োজিত ‘Rethinking about Women’s Empowerment in Society and Literature’ বিষয়ের উপর আন্তর্জালিক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী ভাষণের মাধ্যমে সকলকে স্বাগত জানান সিন্দ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ড. নকুল প্রসাদ ও বিজনী কলেজের অধ্যক্ষ ড. বিরহাস গিরি বসুমাতারী । সম্ভাষণ সূচক ভাষণ দেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর ড. সুদীপ বসু। সম্মেলনের উদ্বোধনীতে বিনোদ বিহারী মাহাতো কৈলানঞ্চল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কমল জন লকড়া বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন শুধু নারীর নিজের ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ না রেখে ছড়িয়ে দিতে হবে সর্বত্র; যার ফলে সমাজ ও রাষ্ট্র উপকৃত ও উন্নত হবে।তাই সমাজে নারী ও পুরুষের বৈষ্যম্যের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বাস্তবে সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে নারীর সমানাধিকারে বৈষম্য আছে বলেই নারীর ক্ষমতায়ন- নীতির পুনর্বিচার করার আবশ্যকতার কথা উল্লেখ করেছেন উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি.এস.ডব্লিউ. ড. দেবযানী বিশ্বাস। বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তথা সম্মেলনের আহ্বায়ক ড. শর্মিষ্ঠা আচার্য বলেছেন, “নারীর ক্ষমতায়ন বিংশ শতাব্দীতে সবচেয়ে ব্যাপক রূপে বিকশিত ও প্রতিফলিত হয়েছে। শিক্ষা, প্রযুক্তি ও সভ্যতার অগ্রগতি প্রতিটি ক্ষেত্রে ক্ষমতায়নের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করেছে। এটি আধুনিক ও উত্তর আধুনিক উভয় সমাজেই লিঙ্গ সমতা ও সামাজিক ন্যায় বিচারের বিকাশের লক্ষ্যে ও উদ্দীপনা হিসেবে কাজ করেছে। আমাদের এই দুদিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলনের লক্ষ্য বিশ ও একুশ শতকে নারীর ক্ষমতায়নের যে প্রক্রিয়া ও পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে তার সাথে অর্জিত ক্ষমতায়ন, ফলাফলের পুনর্বিবেচনা ও বিশ্লেষণ করে তার গ্রহণযোগ্যতার বিচার করা”। বিজনী কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সম্মেলনের যুগ্ম আহ্বায়ক ড. উর্মিলা পোদ্দার বলেছেন, “আজকের সম্মেলনের উদ্দেশ্য বিশ ও একুশ শতকের নারী ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বর্তমানে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নারীচেতনার উত্তরণ, প্রগতিশীলতার প্রবাহমান ধারার যথার্থতার পুনর্বিচার করা প্রয়োজন। লিঙ্গ সমতা নারীর জন্মার্জিত অধিকার বাস্তবে কতটা ফলপ্রসূ হচ্ছে এই সমস্ত বিষয়ে প্রশ্ন, সমস্যা ও সমস্যা থেকে উত্তরণের পন্থা সামনে উঠে আসবে। সমাজ ও সাহিত্যে নারীর ক্ষমতায়নের কার্যকারিতাকে পুনরায় ভাবতে ও সংশোধন করে বাস্তবায়িত করতে সহায়তা করবে। ” এই সম্মেলনে আমন্ত্রিত বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেনঃ তুর্কী, আঙ্কারার Middle East Technical University এর অধ্যাপক প্রফেসর ড. নূরতেন বিরলিক, বাংলাদেশ ঢাকার Southeast University এর সহকারি অধ্যাপক ড. সামশ্ আলদিন, পোলাণ্ডের Warsaw University এর সহকারি অধ্যাপক ড. ওয়েরোনিকা রোকিকা, দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. অমিতাভ চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গের কল্যানী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকসংস্কৃতি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. সুজয় কুমার মণ্ডল, বাংলাদেশের চিটাগাঙ থেকে শ্রী কমলেশ দাশগুপ্ত, মনিষা তুর্কীর Calal Bayer University এর অধ্যাপক ড. মেরিয়াম আয়ান, পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার লোক আদালতের মেম্বার জাজ ড. সঞ্জয় মুখার্জী, পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার পেয়ারী মোহন কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ড. অপূর্ব কুমার দে এবং পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতন থেকে প্রখ্যাত কবি সাহিত্যিক মাননীয় সৈয়দ হাসমত জালাল মহাশয় প্রমুখ। চেয়ারপার্সন হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সিধু-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. নাড়ুগোপাল দে এবং ড. ধ্রুবজ্যোতি পাল।