টাইমস বাংলা ডেস্ক – এবার হেরিটেজ সন্মান পেতে চলেছে কর্ণগড়ে রানি শিরোমণির কেল্লা । ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাইয়েরও প্রায় ৬০ বছর আগে এই বাংলার মেদিনীপুরের কর্ণগড়ের রানি শিরোমণি দেশের প্রথম ব্রিটিশ বিরোধী নারী বিদ্রোহী যোদ্ধা। সেই সময় অনেকেই ভুরু কুঁচকেছিলেন। প্রশ্ন তুলেছিলেন। তারপর ঘটে গেছে বহু ঘটনা । নদী দিয়ে বয়ে গেছে অনেক জল । অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্মতিতে
কর্ণগড় হতে চলেছে ‘হেরিটেজ জোন’ ।
মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানাচ্ছেন, বিজ্ঞপ্তি জারি দিন কয়েকের মধ্যেই। তারপর রানির কেল্লা ও মন্দির সংরক্ষণে যথাযথ ব্যবস্থা। পর্যটকদের জন্য পরিকাঠামোর কাজ হবে সম্পূর্ণ ।
১৮৫৭ সালে ঝাঁসির রানির যুদ্ধের ৬০ বছর আগে চুয়াড় বিদ্রোহের আবহে ব্রিটিশ বিরোধী লড়াই করেন রানি শিরোমণি। মিল অনেক। কর্ণগড়ের রাজা অজিত সিংহের দ্বিতীয় স্ত্রী শিরোমণি, সম্ভবত তিনিও আদিবাসীকন্যা। রাজার মৃত্যুর পর ইংরেজরা কর্ণগড়ের দখল নিতে গেলে শিরোমণি বাধা দেন। যুদ্ধ ঘোষণা করেন। জঙ্গলমহলে তাঁর ফতোয়া ছিল ব্রিটিশ সৈন্যদের জল বা খাবার দিয়ে সাহায্য করলে মৃত্যুদণ্ড। ব্রিটিশদের বন্দুক, ঘোড়া, কামানের বিরুদ্ধে লাঠি, বল্লম নিয়ে লড়েছিলেন আদিবাসীরা। জঙ্গলে সুবিধে করতে পারেনি ব্রিটিশরা। কথিত, শেষে রানির এক নায়েব বা প্রাক্তন প্রেমিকের বিশ্বাসঘাতকতায় রানি ধরা পড়ে যান। বন্দি হন। বিচার হয়। দীর্ঘকাল বন্দিত্বের পর রহস্যমৃত্যু।