টাইমস বাংলা ডেস্ক, উত্তরবঙ্গ – বোর্ডে লেখা ছিল, ‘মা, আই কুইট’। যার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, ‘মা, আমি সরলাম।’ আত্মঘাতী স্কুল ছাত্রের দেহ ঘিরে এখন আলোড়ন পড়েছে শিলিগুড়ি জ্যোতিনগরে। তবে পড়াশোনা নিয়ে মানসিক চাপ নাকি অন্য কোনও কারণ? তদন্ত শুরু করল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, শিলিগুড়ির বাসিন্দা এই ছাত্রের নাম সোমনাথ সাহা(১৮)। সে শিলিগুড়ি উচ্চ বালক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল। পড়াশোনায় ভাল ছিল। মাধ্যমিকে ৯৩ শতাংশ নম্বর পেয়েছিল। পদার্থবিদ্যা নিয়ে উচ্চশিক্ষা করার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু সেই ইচ্ছা থমকে গেল। কারণ, নিজের বাড়িতে আত্মঘাতী হয় সোমনাথ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ গোটা এলাকা এবং পরিবার। সোমনাথের বাবা সুবীর সাহা বলেন, ‘ছেলে উচ্চশিক্ষা নিয়ে খুব চিন্তিত ছিল। কিন্তু এমন ঘটনা ঘটবে ভাবতেও পারিনি। মঙ্গলবার দুপুরেও বাড়ির সবার সঙ্গে সময় কাটায় সোমনাথ। তারপর উঠে গিয়ে নিজের ঘরে পড়াশোনা করছিল। বিকেলে কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরে উঁকি মেরে দেখি দেহ ঝুলছে। জানিনা কেন এমন ঘটাল।’
সোমনাথের বন্ধুদের দাবি, সম্প্রতি দুশ্চিন্তা করত সোমনাথ। পড়াশোনায় মনোযোগী ছিল। কিন্তু কোনও বিষয়ে পড়াশোনায় সামান্য ঘাটতি দেখা দিলেই চিন্তা করতে দেখা যেত সোমনাথকে। একটু মানসিক অবসাদে ভুগত। মাকে খুব ভালবাসত সোমনাথ। তাই হোয়াইট বোর্ডে মাকে উদ্দেশ্য করে লিখে আত্মহত্যা করেছে সোমনাথ বলে মনে করা হচ্ছে। বিষয়টি ভাবাচ্ছে মনোবিদদেরও।