সুইটি ব্যানার্জী, টাইমস বাংলা ডেস্ক – ক্রমশই বদলাচ্ছে আবহাওয়া । কখন গরম তো কখন ঠাণ্ডা । যার কারণে জ্বর সর্দি কাশি লেগেই আছে আট থেকে আশি সকলের । ছোটদের শরীর খারাপ নিয়ে রীতিমতো চিন্তা বাড়ছে মা-বাবাদের । তার ওপর বর্তমানে চলছে করোনার তৃতীয় ঢেউ ওমিক্রণ-এর থাবা । যার কারণে চিন্তা আরোও দ্বিগুন হচ্ছে বাবা-মাদের । এই পরিস্থিতিতে কী করণীয় তা বুঝে উঠতে পারছেন না বাবা-মা ।
তবে এবার শিশুদের জ্বর-সর্দি-কাশি হলে কী করবেন, কী করবেন না, তাদের চিকিৎসা হবে কীভাবে, এ বিষয়ে সুস্পষ্ট গাইডলাইনস জারি করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। করোনা আক্রান্ত হলেও কীভাবে চিকিৎসা হবে শিশুদের, সেই সংক্রান্ত গাইডলাইনসও দিল কেন্দ্র। নিয়মিত শিশুদের দেহের অক্সিজেনের মাত্রায় নজর রাখতে হবে। শিশুরা অনেক সময় পালস অক্সিমিটারে হাত রেখে নড়াচড়া করে, অল্প সময়ের মধ্যে আঙুল বের করে নেয়, ফলে সঠিক মাত্রা জানা যায় না। এই পরিস্থিতি এড়াতে বাচ্চাদের হাতের তর্জনী পরিস্কার করে পালস অক্সিমিটারে রাখতে হবে। এই সময় শিশুদের অন্যমনস্ক করে রাখতে হবে, যাতে তারা হাত না বের করে নেয় বা বারবার নড়াচড়া না করে। স্বাস্থ্যমন্ত্রক বলছে, শিশুদের শরীরের অক্সিজেনের মাত্রা ৯৪-৯৫ মধ্যে থাকলে চিন্তার কিছু নেই। দুর্ভাবনা প্রয়োজন নেই বলছে কেন্দ্র।
শুধু অক্সিজেনের মাত্রা পরীক্ষা করলেই চলবে না, একইসঙ্গে দেখতে হবে শিশুটির জ্বর আসছে কিনা। যদি শরীরের তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হয় তবেই তাকে প্যারাসিটামল জাতীয় লিকুইড ওষুধ খাওয়াতে হবে। তবে কতটা ওষুধ শিশুকে দেওয়া হবে, সে বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে ওই গাইডলাইনে । তবে শিশুদের জ্বর বা সর্দি-কাশি হলে, কয়েকটি বিষয়ের দিকে নজর রাখতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
১. লক্ষ্য রাখুন বাচ্চা ঝিমিয়ে পড়ছে কিনা।
২. জ্বর ১০০-এর উপরে রয়েছে কিনা। একশোর উপর জ্বর থাকলে প্যারাসিটামল জাতীয় লিকুইড ওষুধ খাওয়াতে হবে। অন্য কোনও ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না।
৩. সাত বা দশদিনের বেশি জ্বর থাকলে অন্য চিকিৎসা করা যেতে পারে।