টাইমস বাংলা ডেস্ক, কলকাতা – ধাপে ধাপে রাজ্যে স্কুল খোলার পরিকল্পনা করেছে রাজ্য। তবে কবে থেকে স্কুল খুলবে, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নিজেই সেই ঘোষণা করবেন। এমনটাই জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী জানান, ধাপে ধাপে স্কুল খুলতে চাইছে রাজ্য সরকার। পুরো পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখছেন। স্কুল খুললে যাতে আবারও সংক্রমণ বৃদ্ধি না পায়, যাতে আবারও স্কুল বন্ধ করতে না হয়, তা বিবেচনা করে নিজেই স্কুল খোলার বিষয়ে ঘোষণা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরাও স্কুল খোলার পক্ষে।’ সেইসঙ্গে অভিভাবকদের বিচলিত না হওয়ার পরামর্শ দেন শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর আশ্বাস, ‘এটা দায়িত্ব নিয়ে দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী। উপযুক্ত সময় আমরা বিষয়টি জানাব।’ এমনিতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ২০২০ সালের মার্চ থেকে রাজ্যে স্কুল-কলেজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীতে গত বছরের নভেম্বর থেকে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের জন্য স্কুলের দরজা খুলে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ৩ জানুয়ারি থেকে আবারও স্কুল, কলেজ বন্ধ হয়ে যায়। তারইমধ্যে দেশজুড়ে ১৫ বছর থেকে ১৮ বয়সিদের টিকাকরণ শুরু হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে স্কুল খোলার দাবি তুলেছেন অভিভাবক এবং বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, এখন তো সংক্রমণ কমেছে রাজ্যে। শিথিল হয়েছে বিধিনিষেধ। টিকাও পেয়েছেন স্কুল পড়ুয়াদের একাংশ। তাহলে এখনও কেন স্কুল বন্ধ রাখা হচ্ছে? ক্ষোভও বাড়ছে একাংশের মধ্যে। সেই বিষয়ে নির্দিষ্টভাবে কিছু জানাতে না পারলেও বিকল্প হিসেবে ‘পাড়ার শিক্ষালয়’ প্রকল্পকে তুলে ধরেছেন ব্রাত্য। তিনি জানান, করোনাভাইরাস বিধি মেনে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ‘পাড়ার শিক্ষালয়’ চালু করা হচ্ছে। খোলা জায়গায় সেই ‘শিক্ষালয়’ চলবে। তার ফলে ৬০ লাখ পড়ুয়া উপকৃত হবে বলে দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী।