টাইমস বাংলা ডেস্ক, উত্তর ২৪ পরগনা – পাচারকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও অবশ্য লাভ হল না। তদন্তকারীদের গাফিলতির জন্য প্রাণ গেল ৯৭টি টিয়ার। শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের গাফিলতি দায়ে মুক্তির আগেই এতগুলি টিয়ার মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন তুলছেন পশুপ্রেমীরা। জানা যাচ্ছে, টিয়া পাখিগুলি পাচারকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করে আপাতত শুল্ক দফতরে রাখা হয়েছিল। কিন্তু, সেখানে তাদের চিকিৎসা করা তো দূরের কথা, খাবারও দেওয়া হয়নি। যে কারণে না খেতে পেয়ে মৃত্যু হয় এতগুলি টিয়ার। আদালত সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই টিয়াগুলি বাংলাদেশে পাচার করার উদ্দেশ্যে হাসিবুর সরদার নামে এক যুবক বসিরহাট-বাংলাদেশ সীমান্ত পার করার চেষ্টা করছিলেন। গত ১৩ জানুয়ারি বিএসএফ স্বরূপনগরের তারালী এলাকায় ওই যুবককে গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৭টি খাঁচা, যেখানে ১৫০ টি টিয়া ছিল। বিএসএফ সূত্রের খবর, এরমধ্যে বিভিন্ন প্রজাতির টিয়া ছিল, যার দাম ছিল ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা। বিএসএফ জানতে পারে সেগুলি পঞ্জাব-বিহার-পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশে পাচার করার উদ্দেশ্য ছিল।
নিয়মানুযায়ী, ধৃত যুবককে স্থানীয় পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় এবং শুল্ক দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয় টিয়াপাখিগুলিকে। তবে এই টিয়াপাখিগুলির শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের কর্তব্যে গাফিলতি, নাকি আইনি জটিলতার কারণে মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। নিয়ম অনুযায়ী, কোনও বন্যপ্রাণী উদ্ধার হলে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কমিশনে জানতে হয়। সেখান থেকে ছাড়পত্র পেলে বন্যপ্রাণীগুলিকে নির্দিষ্ট দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয় বা ছেড়ে দেওয়া হয়। তাহলে শুল্ক দফতরের কাছে থাকার সময় টিয়া পাখির যত্ন কেন করা হয়নি তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।