টাইমস বাংলা ডেস্ক, হুগলি- হবু কনের বিশ্বাস ছিল দিদিকে সমস্যার কথা জানালে তা নিশ্চয়ই তিনি সমাধান করবেন। সেই বিশ্বাসেই তিনি সমস্যা প্রতিকারের আবেদন জানিয়ে টুইট করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওয়ালে। আর তারপরেই মিটে গেল সব সমস্যা। সেই বিশ্বাসের সাক্ষী থাকলেন ব্যান্ডেলের বন মসজিদ পাড়ার বাসিন্দা আম্রপালি রায়। রাজ্যে করোনার বাড়বাড়ন্তের কারণে বিয়ে বাড়ি সহ যে কোন অনুষ্ঠানে ৫০ জনের বেশি মানুষ নেওয়া যাবে না বলে প্রথমে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশই সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল আম্রপালির কাছে। বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান আম্রপালির বিয়ে ঠিক হয়েছে বৈদ্যবাটির বাসিন্দা শান্তনু দে’র সঙ্গে। দুজনে বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। সেখানেই একে অপরের সঙ্গে প্রেম। আর তারপরেই তাদের বিয়ে হওয়ার কথা আগামী ২৪ জানুয়ারি। সে কথা ঠিক হয়েছিল করোনার বিধি-নিষেধ জারির আগেই। বেশ ঘটা করে বিয়ের অনুষ্ঠান করতে চেয়েছিলেন আম্রপালি। বাড়ির একটি মাত্র সন্তানের বিয়েতে বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজন মিলিয়ে কাউকে বাদ দিতে চাইনি আম্রপালি এবং তার পরিবারের লোকেরা। শেষমেষ তার বিয়েতে মেরেকেটে অতিথি সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ৬০০ জন। এরই মধ্যে বিধি নিষেধ জারি করে দেয় রাজ্য সরকার। ব্যাস! তাতেই মাথায় হাত আম্রপালির। ৫০ জন লোক নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান করলে কাকে বাদ দেবেন আর তালিকায় রাখবেন তা কিছুতেই ভেবে পাচ্ছিলেন আম্রপালি এবং তার পরিবারের লোকেরা। এই অবস্থায় সোস্যাল মিডিয়ায় কান্নার রোল শুরু করে দেন হবু কনে। তখনই হুগলি জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মদক্ষ তার মামা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টুইট বিষয়টি বলেন। মামার কাছ থেকে সেই বিষয়টি জানার পরেই দেরি না করে শুক্রবার আবেদন জানিয়ে টুইট করে ফেলেন আম্রপালি। আর তার ফলস্বরূপ শনিবারই মুখ্যমন্ত্রী বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠান ৫০ জনের পরিবর্তে ৫৯ শতাংশ লোক নিয়ে করার অনুমতি দেন। আম্রপালি এটিকেই তার বিয়ের সবচেয়ে বড় উপহার বলে মনে করছেন। তার কথায়, ‘বিশ্বাস ছিল দিদি পড়েন। তবে এত দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে তা ভাবতে পারিনি।’