টাইমস বাংলা ডেস্ক – সামনেই প্রজাতন্ত্র দিবস, তারপর রয়েছে দেশের ৫ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে, রাজধানী দিল্লির গাজিপুরের ফুল মান্ডি থেকে সদ্য উদ্ধার হয়েছে আইইডি বিস্ফোরক। যার একটি টাইমার ছিল, এবং তা দবর থেকে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছিল বলেও জানা গিয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে দিল্লি পুলিশের হাতে। গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী বলা হচ্ছে, যে পথে পাকিস্তান থেকে মাদকের চোরা চালান হয়, সেই পথ দিয়েই এবার সেদেশ থেকে ভারতে ঢুকে পড়ছে বিস্ফোরক। উল্লেখ্য, চোরা-গোপ্তা পথে ভারতের মাটিতে ঠিক কতটা পরিমাণ বিস্ফোরক পাকিস্তান পাঠিয়ে যাচ্ছে, তার নির্দিষ্ট সংখ্যা এখনও সামনে আসেনি। তবে কয়েকদিন আগেই, ভোটমুখী পঞ্জাবে পাঁচ থেকে ছয় কিলোগ্রামের ২০ টি আইইডি, ১০০ টি গ্রেনেড উদ্ধার করেছে পুলিশ। মনে করা হচ্ছে, পাকিস্তানের জঙ্গি শিবিরগুলি তাদের অধস্তনদের জানান দিয়েছে যে, টিফিন বম্ব বা আইইডিগুলি পঞ্জাবের বাইরেও পাচার করতে হবে। এক্ষেত্রে যেহেতু সামনেই হাইভোল্টেজ ২০২২ বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে একাধিক রাজ্যে, তাতে মনে করা হচ্ছে, এই আইইডি সেই নির্বাচনকে টার্গেট করেই ভারতে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও মহারাষ্ট্র ও গুজরাতের মতো রাজ্যেও এই বিস্ফোরক ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা তাদের রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ভারতে মাদকের পাচার পথে বিস্ফোরককে সীমান্তপার করতে আফগানিস্তানের হেরোইন ও আফিম পাচারকারীদের সাহায্যও নিয়ে যাচ্ছে পাক সন্ত্রাসবাদীরা। শুধু যে স্থলপথেই এই যাত্রা নির্ধারণ হচ্ছে, তা নয়। জলপথেও ভারতে পাকিস্তান থেকে বিস্ফোরক ঢুকছে বলে খবর। এক অফিসারের বক্তব্য অনুযায়ী,’আইইডি কনসাইনমেন্টগুলি মাদকের টাকায় চলছে।’ গোয়েন্দাদের মতে , ভারতে সাম্প্রদায়ি সম্প্রীতিকে ভাঙতেই এমন বিস্ফোরক পাচার করে নতুন নাশকতার ছকে ব্যস্ত সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদীরা। ইতিমধ্যেই ২৬/১১ এর মুম্বই হামলার ঘটনায় এনআইএ-র হাতে ধৃত ডেভিড কোলম্যান হ হ্যাডলি জিজ্ঞাসাবাদে মুখ খুলে জানিয়েছে ,পাকিস্তানে কীভাবে মাদক পাচারের টাকা সন্ত্রাসবাদী শিবিরগুলিতে ব্যবহার করা হয়। আর সেই সন্ত্রাসবাদীরাই সীমান্তে অস্ত্র সরবরাহ করে থাকে।